যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর কর বসানোর প্রস্তাব পাস

SHARE

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্য দেশে অর্থ পাঠানো বা রেমিট্যান্সের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে। সিনেটে পাস হলেই পরিণত হবে আইনে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই অভিবাসন ও কর আরোপ নিয়ে একের পর এক নির্বাহী আদেশে তোলপাড় চলছে বিশ্বব্যাপী। যা গড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত পর্যন্ত। তবে এবার আর নির্বাহী আদেশ নয়, স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের ওপর রেমিট্যান্স ট্যাক্সের বোঝা চাপানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প।

এরইমধ্যে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নামের কর ও ব্যয়ের মেগা বিল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাউসে ২১৫-২১৪ ভোটে পাস হয় বিলটি। এখন সিনেটে পাস হলেই সেটি আইনে পরিণত হবে।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে করপোরেট ও ব্যক্তির ওপর কর কমানোর একটি বিল পাস করেছিলেন ট্রাম্প। এবার তা আরও বড় পরিসরে কার্যকর করার প্রস্তাব রয়েছে ১ হাজার ১১৬ পাতার নতুন ‘বিগ বিউটিফুল’ বিলে। এছাড়াও সরকারি ব্যয়ে অনেক বেশি কাটছাঁট ও জাতীয় কর্মসূচিতে কর হ্রাস করার এ বিলে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা ‘মেডিকেইড’ এবং বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা ‘ফুড স্ট্যাম্পে’ খরচ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসীরা বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাঠানোর কারণে দেশের অর্থ বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্সে কর বসিয়ে রাজস্ব বাড়ানো এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আনার উদ্দেশে এই প্রস্তাব দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্য দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে এ বিলে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছাড়াও এ বিলের আওতায় পড়বেন কাজ বা ব্যবসার কারণে দেশটিতে অবস্থানরত এইচ-১বি ভিসা, এফ-১ ভিসাধারী এমনকি গ্রিনকার্ডধারীরাও।

বিলটি আইনে পরিণত হলে বিপাকে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। রেমিট্যান্স পাঠাতে গুনতে হবে করের বাড়তি অর্থ।

এদিকে, এই বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক নতুন পরিবর্তন বলে আখ্যা দিয়েছেন হাউস স্পিকার মাইক জনসন।