নিজস্ব প্রতিবেদক:
উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দিনাজপুরে বন্যায় শহররড়্গা বাঁধসহ ৩ উপজেলার নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে একই পরিবারের ৩জনসহ অন্তত ১৪জন।
সারা দেশের সাথে ট্রেন ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একইসাথে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি । জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কুড়িগ্রামে ভেসে গেছে প্রায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি। কুড়িগ্রামের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সাড়ে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠন। এছাড়া সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, রংপুর ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
লালমনিরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ভেলা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আছে ৩ জন। শনিবার রাতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায়, লালমনিরহাটের ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তিস্তা তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
বন্ধ রয়েছে কাকিনা বুড়িমারি স্থলবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ। কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার ১০৮ সোন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি ২০ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমারের পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৬৫ সে. মি. বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ জেলার বাইশপুকুর স্বেচ্ছাশ্রম বাঁধের ২ কিলোমিটার অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, বান্দরবান, রাঙামাটি, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, রংপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থি্তি অবনতি হয়েছে। এদিকে ধসে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহররক্ষা বাধের দুটি অংশ।