যে ম্যাচ বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে

SHARE
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়কে বিরাট টার্নিং পয়েন্ট বলছেন বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে রচিত হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অমর এক কাব্য, খুলে গিয়েছিল স্বপ্নের দরজা। ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করে

২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়কে বিরাট টার্নিং পয়েন্ট বলছেন বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

ন, ওই ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরাট বাঁকবদল।

২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ যেন বদলে যাওয়া এক দল। ওই বছর দেশের মাঠে যে কটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছেন মাশরাফিরা, প্রতিটি জিতেছেন। জয়ের ধারা অব্যাহত থেকেছে গত বছরও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়, ইংল্যান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই—দেশের মাটিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে শক্তিশালী দল হিসেবে।

শুধু দেশের মাঠে ভালো করলেই বড় দল হওয়া যায় না। ভালো করতে হবে বিদেশেও। গত ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ নেমেছে বিরুদ্ধ পরিবেশে ভালো করার অভিযানে। গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফর, সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফর ও এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, তারা বিদেশের মাঠেও দুর্দান্ত খেলে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে এই উন্নতির গল্প বলতে গিয়ে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বললেন, ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানো ছিল বড় বাঁকবদল, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। যদি গত দুই বছরে চোখ রাখেন, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাটা ছিল আমাদের বড় টার্নিং পয়েন্ট। আমরা ঘরের মাঠে ভালো করার যে লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম, সেটা অর্জন করেছি। গত এক বছর দেশের বাইরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভালো করার লক্ষ্য ঠিক করেছি। এটা সেই যাত্রার অংশ। এখানে সেমিফাইনালে উঠতে পারাটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠাটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় অর্জন মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘এটা অনেক সম্মানের। অনেকে ভাবতে পারেনি আমরা সেমিফাইনালে উঠব। ভারত শক্তিশালী দল। যদি তাদের হারাতে পারি, এটা হবে আমাদের জন্য ভালো অর্জন।’

সেমিফাইনালে জিতলেই ফাইনাল। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ মাশরাফিদের সামনে।