যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কূটনীতিক গ্রেফতারের ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, একজন পলাতক ব্যক্তির কথায় একজন কূটনীতিককে কেন আটক করা হয়েছে, সেটি জানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রিফম্যান ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আন্দ্রেয়া বি রদ্রিগেজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে দেখা করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গোটা ব্যাপারটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় এবং তাদের কাছে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছি আমরা।
১৩ মাস আগে এই গৃহকর্মী সাহেদুল ইসলামের বাসা থেকে পালিয়ে যান এবং সেইসময়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
এর এক বছর পর একজন পলাতক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজন কূটনীতিককে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি তাদের কাছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান জানান, ১২ জুন সকালে পুলিশের হাতে আটক হন বাংলাদেশের কূটনীতিক শাহেদুল ইসলাম (৪৫)। তাকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি।
জামিনে মুক্তি পেলেও আগামী ২৮ জুন শাহেদুল ইসলামকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে।
কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, গ্রেফতার শাহেদুল ইসলাম বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল।
কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, নিউইয়র্কে তার বাসায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে তিনি বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশি ওই শ্রমিককে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার পরই তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন শাহেদুল।
এদিকে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কূটনীতিক তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন।
ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।




