বেলারুশের আকাশসীমা থেকে লিথুয়ানিয়ায় অনুপ্রবেশকারী একটি ড্রোন দেশটির সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় পাওয়া গেছে। এটি রাশিয়ার তৈরি ড্রোন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লিথুয়ানিয়ার সেনাবাহিনী শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ড্রোনটি সোমবার ভোরে লিথুয়ানিয়ায় ঢুকে পড়ে ও দেশটির রাজধানী ভিলনিয়াসের কিছু অংশের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এ সময় সাধারণ মানুষ এটির গতিপথের ভিডিও ধারণ করে।
এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, “সম্ভবত এটিই সোমবার লিথুয়ানিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করা সেই ড্রোন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি ‘গারবেরা’ ড্রোন, তবে বিস্তারিত পরে নিশ্চিত করা হবে।”
রাশিয়ার গারবেরা ধরনের ড্রোন মূলত ইউক্রেনে হামলার সময় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ড্রোনটি লিথুয়ানিয়ার গাইজিউনাই সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় পাওয়া গেছে। এ এলাকার কাছাকাছি রুকলা শহরে একটি আন্তর্জাতিক ন্যাটো ব্যাটালিয়নও অবস্থান করছে।
লিথুয়ানিয়ার সরকার দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান মিনদাউগাস সিনকেভিসিয়ুস বলেন, ‘যে স্থানে ড্রোনটি এসে পড়েছে, তাতে আমি এটিকে একটি উসকানি বলেই মনে করি।’
লিথুয়ানিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা প্রথমে ড্রোনটিকে বেলারুশের আকাশসীমায় ট্র্যাক করেছিল, তবে পরে সেটির সংযোগ হারিয়ে ফেলে।
এ ঘটনায় ধীর প্রতিক্রিয়ার জন্য দেশটির সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ড্রোন প্রতিরোধে প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা পুনঃমূল্যায়ন করা হবে ও ভবিষ্যতে সহজেই ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য সামরিক বাহিনীকে দ্রুত অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে ১০ জুলাই রাশিয়ার একটি গারবেরা ড্রোন লিথুয়ানিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করলে কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মস্কো ইউক্রেনে হামলার জন্য শত শত ড্রোন ব্যবহার করছে, যেগুলোর কিছু প্রতিবেশী দেশ যেমন পোল্যান্ড, রুমানিয়া ও মলদোভায় গিয়ে পড়ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি রুশ শাহেদ ধরনের ড্রোন ন্যাটো ও ইইউ সদস্য বাল্টিক দেশ লাটভিয়ায় ভূপাতিত হয়েছিল।
সূত্র : এএফপি