এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে তাদের গ্র“পপর্বের শেষ ম্যাচটি অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে ওঠায় পুরনো সেই ভূতই তাড়া করল প্রোটিয়াদের। নকআউট পরিস্থিতিতে আরও একবার চাপের মুখে ভেঙে পড়লেন ডি ভিলিয়ার্সরা। ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সেমিফাইনালও অনেকটা নিশ্চিত। কিন্তু শেষ ম্যাচে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচে যদি বড় ব্যবধানে জয়-পরাজয় হয় তবেই কেবল সমীকরণ বদলাবে।
১৯২ রানের টার্গেটে খেলতে নামা ভারতে উদ্বোধনী জুটি ষষ্ঠ ওভারেই ভেঙে দিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল। দলীয় ২৩ রানে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দেন মরকেল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ধাওয়ান ও কোহলি। ৩১তম ওভারে ৭৮ রান করে ধাওয়ান যখন সাজঘরে ফিরছেন তখন জয় নিশ্চিতই হয়ে গেছে ভারতের। কোহলি অবশ্য শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ভারতের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৬ রানের ইনিংস। ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন যুবরাজ সিং।
রোববার এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালোই হয়েছিল।কিন্তু ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ৪৪.৩ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৫১ রানে পড়েছে শেষ আট উইকেট, যার তিনটি রানআউটে। শুরুতে সতর্ক ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ তুলে ফেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা।
১৮তম ওভারে আমলাকে (৩৫) ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এরপর ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে ৪০ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন ডি কক। ৭২ বলে ৫৩ করা ডি কককে বোল্ড করে এ জুটি ভাঙেন আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারে প্রথম গোল্ডেন ডাক পাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ঝড় তোলার।
দল তখন দুই উইকেটে ১৪০ রানে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। ছন্দপতনটা এরপরেই। ডি ভিলিয়ার্সের রানআউট (১৬) দিয়ে। পরের ওভারে আবার রানআউট। এবার ডু প্লেসির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট ডেভিড মিলার। টানা দুই ওভারে দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন ডু প্লেসি (৩৬)।
শেষ ভরসা হিসেবে একপ্রাপ্ত আগলে রাখা জেপি ডুমিনি ২০ রানে অপরাজিত থাকলেও লোয়ার অর্ডারে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৪৫তম ওভারে শেষ হয় এই আসা-যাওয়ার মিছিল। ভারতের প্রায় সব বোলারই দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন। একক কোনো নায়ক নেই। দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া অশ্বিন, জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়ার ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।