অভিযোগপত্র গ্রহণ, দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

SHARE

italy nইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত শুনানি নিয়ে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার পলাতক আসামি বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম এবং সোহেল আহম্মেদ ওরফে ভাঙারি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত ২৭ জুন এই মামলায় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল ও শাখাওয়াত হোসেন।

আসামিদের মধ্যে সোহেল ছাড়া অন্য সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।

সাত আসামির মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত ইতিমধ্যেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই চারজন ও মতিন কারাগারে আছেন। কাইয়ুম ও ভাঙারি সোহেল পলাতক রয়েছেন।

সোহেলের পরিবারের অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গত বছরের অক্টোবরে সোহেলকে মধ্য বাড্ডা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান মেলেনি।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাতে সিজারকে (৫১) গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে সিজার তাবেলাকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিলেন মতিন। মতিন অন্যদের ভাড়া করেন।