বান্দরবান: জেলা প্রশাসনের হিসাবে বান্দরবানে পাহাড়ধস ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ। আর সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে মাথাপিছু ২০ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা আরো লম্বা হবে। সে হিসেবে মাথাপিছু বরাদ্দ আরো কমে যাবে।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ও ১৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭০ হাজার টাকা ও ৫০ টন চাল এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান জেলা শহর ও লামা উপজেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় বানের পানি বাড়ছে। শুক্রবার জেলা শহরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোনো দৈনিক সংবাদপত্র আসেনি। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কপথ তলিয়ে গেছে।
পাঁচ দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সদরের একমাত্র সংবাদপত্র এজেন্ট রাখাল চন্দ্র দে। বিকালে সেনা রিজিয়ন কর্তৃপক্ষ ২৫০০ বন্যার্ত লোকের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করেছে। রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী ও সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল রাজু আহমেদ খিচুড়ি বিতরণ উদ্বোধন করেন। শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বন্যার্তদের খিচুড়ি খাওয়নো ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান কর্মসূচি বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে রিজিয়ন কমান্ডার জানিয়েছেন। শহরে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।