তিউনিশিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় ২৭ জন নিহত

SHARE
tuneshiyaতিউনিসিয়ার সউসে জেলার এক সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী হোটেলের কাছে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পরিচালিত ওই হামলায় আরও ছয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল ইম্পেরিয়াল মারহাবা হোটেলের আশপাশ ঘিরে রেখেছে দেশটির নিরাপত্তা রক্ষীরা। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠি হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সউসে সৈকতের উন্মুক্ত পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও মদ্যপানের জন্য ইসলামপন্থী জিহাদিরা সেখানে হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে ঘটনাস্থলের পাশে একটি কালাশনিকভ রাইফেল ও এক হামলাকারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিউনিশিয়ার নিরাপত্তারকর্মীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে সে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বিদেশি পর্যটক।
সউসে জেলাটি তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশ থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সউসে শহরটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। হামলার সময় সৈকতটিতে অনেক বিদেশি পর্যটক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইম্পেরিয়াল মারহাবা হোটেলের এক কর্মচারির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ‘বয়সে তরুণ এক হামলাকারী কালাশনিকভ রাইফেল হাতে সৈকত ও হোটেলে থাকা পর্যটক ও স্থানীয়দের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। এ সময় সে শর্টস পরেছিল এবং তাকেও দেখতে পর্যটকের মতোই মনে হচ্ছিলো।’

২০১১ সালের ‘আরব বসন্তের’ পর তিউনিসিয়ায় অনেকটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটেছে। শুক্রবারের হামলাটি চলতি বছর তিউনিসিয়ায় ঘটা দ্বিতীয় বড় ধরনের জঙ্গি হামলা। এর আগে গত মার্চে তিউনিসের এক জাদুঘরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২২ জন মারা যান।
আরব বিশ্বের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তিউনিসিয়ার সমুদ্র সৈকত ও নাইটক্লাবগুলো ইউরোপের পর্যটকের কাছে জনপ্রিয়। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের সাত শতাংশ পর্যটন খাত থেকে আসে। দেশটির অন্তত চার লাখ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি