ভারতের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং তার সাবেক স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার বিবাহবিচ্ছেদ শেষ হলেও ঝগড়া থামেনি। সম্প্রতি আদালতে চাহাল একটি কালো টি-শার্টে লিখে হাজির হন, ‘নিজেই নিজের সুগার ড্যাডি হও’, যা তৎক্ষণাৎ আলোচনার জন্ম দেয়। তা নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে খোঁচা দিয়েছেন ধনশ্রী।
টি-শার্টের এই লেখা নিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীর উদ্দেশে নীরব খোঁচা দিয়েছেন চাহাল।
ধারণা করা হয়েছিল, তিনি ধনশ্রীকে ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে নিজের আর্থিক দায়িত্ব নিজেই নিন।
এই প্রসঙ্গে ধনশ্রী ‘ইন্ডিয়া টুডের’ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপনি জানেন যে লোকে আপনারই দোষ দেখবে। টিশার্ট নিয়ে এই কেরামতি দেখানোর আগেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে সকলে মিলে আমাকে দোষী বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আরে ভাই, একটা হোয়াটস্অ্যাপ করে দিতে পারতে।
টিশার্ট পরার কী দরকার ছিল?’
উল্লেখ্য, টি-শার্টের বার্তা নিয়ে ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার বলেছিলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও নাটক করতে চাইনি। আমি শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। সেটাই দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘উল্টো দিক থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছিল।
প্রথম দিকে কোনো উত্তর দিতে চাইনি। কিন্তু থামার কোনো লক্ষণ দেখছিলাম না। একটা সময় মনে হয়, যথেষ্ট হয়েছে। আমার আর কাউকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। কাউকে দোষারোপ করতে চাইনি।
শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছি।’
চাহাল সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ভরণপোষণ নিয়ে ধনশ্রীর অযৌক্তিক দাবিতে তিনি বিরক্ত।
ধনশ্রী আরও জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিন তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হব-হব করছিল। আমি এক পাশে দাঁড়িয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। তবু আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম এবং সবার সামনে চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। সেই মুহূর্তে কী অনুভূতি হচ্ছিল, তা বোঝাতে পারব না, শুধু কেঁদে যাচ্ছিলাম।’