ফরাসি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা নজরদারি চালিয়েছে এমন অভিযোগের পর ফ্রান্স নিজেই এখন তার দেশের গোয়েন্দাদের আড়ি পাতার ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাশ করেছে।
বেশ কয়েকবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ফরাসী তিনজন প্রেসিডেন্টের ফোনে আড়িপাতা সহ নানা ধরনের নজরদারি চালিয়েছে এমন অভিযোগ ওঠার একদিনের মাথায় এই আইন পাশ করল ফ্রান্সের পার্লামেন্ট।
গোয়েন্দারা নজরদারি চালাতে বাড়িতে আড়ি পাতার যন্ত্র বসাতে পারবেন।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি জানতে তাদের গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইসও স্থাপন করতে পারবেন।
এই আইনের বলে বিভিন্ন ব্যক্তির ইন্টারনেট বার্তা ও অন্যান্য গোপন তথ্য গোয়েন্দাদের রেকর্ড করতে দিতে বাধ্য হবে টেলিফোন ও ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো।
মাত্র গতকালই হুইসেলব্লোয়ার উইকিলিকসের ফাঁস করা কিছু নথিপত্রে দেখা গেছে ২০০৬ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ ও সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের সব ধরনের যোগাযোগের ওপর আড়ি পেতেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ।
এই অভিযোগের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, ফ্রান্সের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের নজরদারি সহ্য করা হবেনা। ক্ষুব্ধ ফ্রান্স সেখানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের ওপর কোনো ধরনের গোয়েন্দা তৎপরতা আর চালাচ্ছে না।
তবে ফ্রান্স নিজেই এখন গোয়েন্দাদের নজরদারি ও আড়ি পাতার ক্ষমতা আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িয়ে দিল।