দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই করুণ উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সকলকে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা যে দলই করিনা কেন, আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা। তাই কেবল বিএনপি নয়, দেশরক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান অবৈধ সরকার টিকে আছে শুধু পুলিশের জোরে। পুলিশ রাষ্ট্র চালাচ্ছে।
বুধবার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত পিপলস পার্টির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
এসময় খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার আছে, তা অবৈধ। এরা টিকে আছে শুধু পুলিশের জোরে। পুলিশ রাষ্ট্র চালাচ্ছে। তাদের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
বেগম জিয়া বলেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নয়। দলীয় বিচরক বসানো হয়েছে। তাদের বিচার দুই রকমের। আওয়ামী লীগের কর্মী হলে শত অপরাধের পরও মাফ পাওয়া যায়। আর বিএনপির নেতা-কর্মী হলে বিনা দোষে সাজা ভোগ করতে হয়।
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে যে গম আমদানি করা হয়েছে তা অখাদ্য। এই অখাদ্য খাইয়ে দেশের মানুষকে মারতে চায় সরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, এই পবিত্র রমজানে আমাদের আল্লাহর কাছে আমাদের ফরিয়াদ যে, জুলুম, অত্যাচারি, চোর ও দুর্নীতিবাজদেরকে এমন শাস্তি দেয়া হোক, যাতে তাদের পরিণতি হয় করুন।
মাহফিলে এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মো. ইসহাক, জাতীয় পার্টিও মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতিক), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির ব্যারিস্টার ছায়েদুল হাসান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ভাসানীর এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ পিপলস্ লীগের গরীবে নেওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মাওলানা ওয়াক্কাস, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।