ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ) দ্বিতীয় রাউন্ডেই বড় অঘটনের শিকার হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চতুর্থ বিভাগের দল গ্রিমসবি টাউনের কাছে টাইব্রেকারে ১২-১১ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ভাগ্য নির্ধারণ হয় পেনাল্টিতে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে স্বাগতিক গ্রিমসবি।
প্রথমার্ধে চার্লস ভারনাম ও টাইরেল ওয়ারেনের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। একদিকে ওনানার একের পর এক ভুল, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের গতি—সব মিলিয়ে একেবারে চাপা পড়ে যায় ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রুনো ফার্নান্দেস, ব্রায়ান এমবেউমো ও ম্যাথাইস ডি লিগটকে নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন কোচ আমোরিম। শেষ পর্যন্ত এমবেউমো ও হ্যারি ম্যাগুইয়ারের গোল ম্যাচে সমতা ফেরায়।
যোগ করা সময়ে বেঞ্জামিন সেসকোর অবিশ্বাস্য মিসের কারণে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।
৪-৪ অবস্থায় মাথিউস কুনহার শট বাঁচিয়ে দেন গ্রিমসবি গোলকিপার ক্রিস্টি পিম। এরপর দুই দল মিলে টানা ১৫টি সফল শটের পর এমবেউমোর শট ক্রসবারে লেগে গোল মিস হলে বিদায় নিতে হয় ইউনাইটেডকে।
পরাজয়ের পর ক্ষুব্ধ আমরিম বলেন, ‘আমার মনে হয় সেরা দল জিতেছে, একমাত্র দল যারা মাঠে ছিল।
যে কোনো দল যদি ইচ্ছা নিয়ে খেলতে নামে, তারা জয় পেতেই পারে। আমরা শুরু থেকেই কোনো উদ্যম ছাড়াই খেলেছি, সম্পূর্ণ হারিয়ে গিয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের মনোভাবই সবচেয়ে বড় কথা বলে দিয়েছে।’
এই হারে নতুন মৌসুমের শুরুতেই আরও বড় চাপের মুখে পড়ে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে এখনো জয়হীন দলটি গত মৌসুমে শেষ করেছিল ১৫তম স্থানে, যা ১৯৭৪ সালের পর সবচেয়ে বাজে ফলাফল।
এবার মৌসুমের অন্যতম সহজলভ্য ট্রফিও হাতছাড়া করল তারা।
অন্য ম্যাচে ব্রাইটন ৬-০ গোলে অক্সফোর্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে। জোড়া গোল করেন তরুণ স্টেফানোস তজিমাস। এছাড়া ফুলহাম ২-০ গোলে ব্রিস্টল সিটি ও এভারটন একই ব্যবধানে ম্যান্সফিল্ডকে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে।




