হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ির গভীর অরণ্যে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ত্রিপুরা পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (টিপিডিএফ) সংগঠনের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেখানে উদ্ধারকৃত কাগজপত্রের মধ্যে টিপিডিএফ সংগঠনের কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। অবশ্য র্যাব মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান ঘটনাস্থলে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এখানে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে তদন্ত হবে। এরপর বলা যাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কার ছিল।
এর আগে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র এবং ২০০৩ সালের ২৭ জুন বগুড়ার উদ্ধারকৃত গোলাবারুদের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে এই অস্ত্র ও গোলাবারুদের সঙ্গে সেগুলোর মিল আছে কিনা।
বগুড়ায় উদ্ধারকৃত গোলাবারুদের ট্রাক চালক অাশিষ দেব বর্মনের বাড়ি এই সাতছড়ি পাহাড়েই। সাতছড়ির সংরক্ষিত বনবিভাগের অফিসারের কার্যালয় থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে ২২টি পরিবার বসবাস করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালালে সরেজমিনে দেখা যায়, ত্রিপুরা বস্তির ২২ পরিবারের তিনজন নারী এবং একজন শিশু ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। যদিও এখানে বসবাসের সব ধরনের আলামত পাওয়া গেছে।