বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘জঙ্গিবাদের মাতা’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের দোসর। তিনি জঙ্গিবাদের লালনকারী মাতা। তিনি আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। তিনি জঙ্গিবাদের দোসর হতে পারেন কিন্তু গণতন্ত্রের রাণী হতে পারবেন না।’
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাপ্তাহিক ‘নতুন কথা’র ৩৫ বছর প্রকাশনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় ও জনজীবনের নিরাপত্বা এবং গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমগুলোকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনো জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিতে ছাড়েননি। তাহলে কেন তাকে গণমাধ্যমগুলোতে জঙ্গিবাদের দোসর বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে না? গণমাধ্যমকে জঙ্গিবাদ বা গণতন্ত্র যে কোনো একটি পক্ষকে বেছে নিতে হবে। দুইটির মধ্যে ভারসাম্য করলে হবে না। এ জন্য জঙ্গিবাদের নেত্রীকে পরিত্যাগ করতে হবে। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে এক পাল্লায় মাপলে হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ হচ্ছে বিপদ। দলবাজি, ক্ষমতাবাজি ও সন্ত্রাসবাদী হচ্ছে আপদ। আপদ দূর করা যায় কিন্তু বিপদ দূর করা কষ্টকর। সরকার দুর্নীতি, দলবাজি, ক্ষমতাবাজি ও সন্ত্রাসবাদী নির্মূল করতে পারবে। কিন্তু গণমাধ্যম যদি জঙ্গিবাদের ওকালতি করে তাহলে জঙ্গিবাদ দূর করতে পারবে না।’
গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কারণে দেশে দুর্নীতি করলে সাজা পাচ্ছে, নারায়ণগঞ্জের খুন, গুম ও হত্যার বিচার হচ্ছে।’
সীমান্ত সন্ত্রাসকে জনজীবনের নিরাপত্বার সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, দলবাজি, দুর্নীতি হলে যেমন জনজীবনের নিরাপত্বা বিঘ্নিত হয় তেমনি সীমান্ত সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেলে জনজীবনের নিরাপত্বা বিঘ্নিত হয়। সীমান্ত সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেলে চোরাচালান, উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।’
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্বা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক। গণমাধ্যমের কর্মীদের সাহসের সঙ্গে খবর প্রচার করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হোসেন বাদশা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানি, সাংবাদিক আবু সাইয়ীদ খান, সুমি খান প্রমুখ।