এখন থেকে ঢাকায় বাড়ি করতে হলে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার সচিবালয়ে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) রিভিউ কমিটির সঙ্গে মিটিং শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ রোধ, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থার ভার ভবনমালিকদেরই নিতে হবে। এক বাসভবনের বর্জ্য, দুর্গন্ধ অন্য বাসভবনের পরিবেশ দূষণ করবে- এটা হতে পারে না। তাই ইটিপির কোনো বিকল্প নেই।’ এদিকে জানা গেছে বর্তমানে যে ড্যাপ রয়েছে এটি ২০১৫ সালে পর্যন্ত কার্যক্রম থাকবে। পরে নতুন করে ড্যাপ তৈরি করা হবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরো জানান, ৬৬ হাজার সেনাসদস্যের জন্য বালু নদীর পাড়ে জলসিঁড়ি নামক আবাসিক প্রকল্পের অনুমোন দিয়েছে ড্যাপ রিভিউ কমিটি।
একইসঙ্গে কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় পুলিশের জন্যও একটি আবাসিক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এছাড়া সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জন্য তুরাগ নদীর তীরে ৫০ একর জায়গায় প্রত্যাশা নামক একটি আবাসিক প্রকল্পের অনুমোদনের কথাও সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তারা সেখানে ইটিপি বসাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভবিষ্যতে প্ল্যান পাশ করাতে হলে অবশ্যই ইটিপি বসাতে হবে।’
এ মর্মে রাজউককে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।



