প্রথমবারের মতো জাপানের আইটি সপ্তাহে বাংলাদেশ

SHARE

japan itজাপানের সর্ব বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলা “জাপান আইটি উইক”-এ  প্রথম বারের মত অংশ নিলো বাংলাদেশ।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে এই মেলায় অংশ নিয়েছের বাংলাদেশের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
জাপানের রাজধানী টোকিও’র বিগ সাইটে অনুষ্ঠিত হওয়া মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্টল উদ্বোধন করেন।

এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হারুনুর রশীদ, জেট্রোর সুজুকি, বিজেআইটি’র সাটো  ও তরু ওকাজাকি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বলে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার স্টল উদ্বোধনের পর প্রতিমন্ত্রী মেলার একটি সেমিনারেও অংশ নেন। সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে অংশ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম বাস্তবায়নে তিনি বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে  বিদ্যমান প্রণোদনাসমূহ উল্লেখ করার মাধ্যমে  জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহবান জানান।

জাপানের আইটি সপ্তাহে এরপর থেকে প্রতিবছরই অংশগ্রহণের জন্য প্রতিমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, জাপান প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দানকারি একটি দেশ এবং জাপান বরাবরই বাংলাদেশের বন্ধু। তাই আগামীবার থেকে বাংলাদেশ প্রতিবারই জাপানের আইটি সপ্তাহে অংশ নেবে এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সম্ভব সবকিছুই বাংলাদেশ করবে। উক্ত সেমিনারে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশী আইটি উদ্যোক্তারাও অংশগ্রহণ করেন।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর সাথে তার কার্যালয়ে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে হাই-টেক পার্কে জাপানের বিনিয়োগের আহবান জানান।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন ও বিধিমালার খসড়া প্রণয়নে এবং বাংলাদেশে একটি সাইবার ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে জাপানের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করলে জাপানের প্রতিমন্ত্রী সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় জাপানের প্রতিমন্ত্রী অবহিত করেন যে, জাপান সরকার বিদেশে ২০ বিলিয়ন ইয়েন  বিনেয়োগের পরিকল্পনা করছে এবং এর একটি বড় অংশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য তিনি কাজ করবেন।

১৩ই মে থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত।