গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার বলেছেন, নেশাগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি যেন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতে না পারে। এটা ভুললে চলবে না যে ওই গাড়িতে ৫০ জন লোক আছে তাদের নিরাপত্তা দেখতে হবে। যে গাড়িগুলো দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে, অধিকাংশই গাড়ির ড্রাইভার হয় নেশাগ্রস্ত না হয় ঘুমন্ত। এ বিষয়টি আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কাউকে গাড়ির চাবি দেওয়া যাবে না। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
বৃহস্পতিবার (১ মে ) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র গাইবান্ধা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রংপুরের সহযোগিতায় মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. শরিফুল আলম বলেন, পুলিশ যে কাজটি করে রাস্তায় অবৈধ গাড়ি ধরে যাত্রী নামিয়ে দেয়।
কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অনেক সময় পুলিশ ক্ষোভের মধ্যে পড়ে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে তালিকা দেন যে এতগুলো গাড়ি শহরের রাস্তায় চলবে, তারপর দেখেন পুলিশ ব্যবস্থা নেয় কি না।
সভায় আরো বক্তব্য দেন— রংপুর শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সরকারি কমিশনার (ভূমি) গাইবান্ধা সদর মোহা. জাহাঙ্গীর আলম বাবু, জেলা বাস ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী বিশু, শ্রমিক নেতা আব্দুল করিম, জেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সুমন প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’।
এ ছাড়া মে দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পাশাপাশি নিজ নিজ সংগঠন কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।