নতুন ফাইনালিস্ট: নিউজিল্যান্ড না দক্ষিণ আফ্রিকা

SHARE

africa newzilandবিশ্বকাপের একাদশ আসর চলছে। আগের দশটি আসর বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান সমান্তরালে। দুদলের দৌড়ই সেমিফাইনালে সীমাবদ্ধ। এবারও সেমিতে চলে এসেছে দুদল। তবে এই আসরে এক দলকে বরণ করতে হবে পুরনো নিয়তি। আর আরেক দল দেখবে নতুন দিগন্ত। আর বিশ্বকাপ ক্রিকেট পাবে নতুন ফাইনালিস্ট।

শেকল ভাঙার আশা দুদলেরই আছে। কিন্তু দুদল মুখোমুখি হবে বলে, এক দলকে হতাশার সাগরে ডুবতেই হবে। অকল্যান্ডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে সোমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

দুদল মিলে নয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে। কিন্তু ফাইনালের স্বাদ পায়নি কোনো দলই। ছয়বার শেষ চারে খেলেছে কিউইরা। তিনবার প্রোটিয়ারা। সেমিতে তারা কেউই নতুন নয়। শেষ ধাপ দেখা হয়নি কোনো দলের।

বিশ্বকাপে দারুণ সময় কাটছে কিউইদের। টানা নয়টি ওয়ানডে জিতেছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। ম্যাককালাম, কোরি অ্যান্ডারসন, বোল্ট, সাউদি, উইলিয়ামসন, ভেট্টোরি, গাপটিলরা দলের মূল ক্রিকেটার। সবাই রয়েছেন ভালো ফর্মে।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স অবশ্য উঠা-নামা করছে। গ্রুপ পর্বে তারা ভারত-পাকিস্তানের কাছে হেরেছে। তবে টানা দুবার চারশো রান করেছে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স দলটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। স্টেইন, মরকেল, ইমরান তাহিরদের নিয়ে বোলিংটা দারুণ। ব্যাটিংয়ে আমলা, ডি কক, ডু প্লেসিস, মিলার ও ডুমিনিরা অধিনায়কের সঙ্গে ঝড় তুলতে প্রস্তুত।

২০১১ বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনালে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল কিউইরা। ‘চোকার্স’ বয়ে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা বহুদিন ধরে। এবার সেই চোক প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে চায় দলটি। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে সেটির ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। টগবগে ফর্মে থাকা কিউইদের হারানো বড় চ্যালেঞ্জই হবে তাদের জন্য। নিজেদের চেনা পরিবেশে খেলবে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। শক্তি থাকলেও ম্যাককালাম বাহিনীকে আপন ভুবনে হতাশা উপহার দিতে নিজেদের সেরা ক্রিকেটই খেলবে হবে প্রোটিয়াদের।

নিউজিল্যান্ড দলে পরিবর্তন আসবে একটি। অ্যাডাম মিলনে বাদ পড়ায় ম্যাট হেনরি বা অভিজ্ঞ কাইল মিলস খেলবেন। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলেছেন, তার দল প্রস্তুত সেমির জন্য। তিনি বলেন,  “যে কোনো ম্যাচ আপনি খেলবেন, কেউ কেউ  নার্ভাস থাকবেই। কিন্তু সবার অনুভূতি, আমরা সেখানে যেতে আর অপেক্ষা করতে পারছি না এবং এমন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ভালো দলের বিরুদ্ধে স্কিলের পরীক্ষা দিতে চাই।”
একাদশ গঠনে দোটানায় থাকবে প্রোটিয়ারাও। ভারনন ফিল্যান্ডার না কাইল অ্যাবোট, সেই সিদ্ধান্তই নিতে হবে ডি ভিলিয়ার্সকে। প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রোটিয়ারা নিজেদের নিয়েই ভাবছে। ভিলিয়ার্স বলেন, “তারা (নিউজিল্যান্ড) যেমন ক্রিকেট খেলেছে সেটা নিয়ে ভাবা স্বাভাবিক হবে না। তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। কিন্তু যদি আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, কেউ আমাদের থামাতে পারবে না। আমার নিশ্চিত করতে হবে খেলোয়াড়রা সবাই মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট থাকবে।”