বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা অংকের ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবেই তাদের ওপর গুলি ছুড়ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গরু-মহিষ আমদানিতে ঘুষের পরিমাণ বেড়ে গেছে আগের থেকে বহুগুণ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা গোশত ব্যবসায়।
ভারত থেকে গরু-মহিষ আমদানি বন্ধ করে ভূটান, নেপাল ও মায়ানমার থেকে আমদানির সুযোগ তৈরি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান সংগঠন দু’টির নেতারা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রবিউল বলেন, “১০০ কেজি মাংস হয়, এমন এক জোড়া গরু আমদানিতে আগে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ঘুষ নিতো বিএসএফ। এখন এটি দাঁড়িয়েছে ৩০-৪০ হাজার টাকায়। গুলির ভয়ে বাধ্য হয়ে এ পরিমাণ ঘুষ দিয়ে গরু আনছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে সব মিলিয়ে প্রতি কেজি মাংসে ১০০ টাকা খরচ বেড়ে যায়।”
তিনি বলেন, “আড়তদাররা আগে যে চামড়া কিনতেন ৩২০০ টাকায়, সেটি এখন ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা দিচ্ছেন। তাদের অযুহাত- আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে। মূলত আড়তদারদের সিন্ডিকেটে দাম কমানো হচ্ছে।”
মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের চাহিদা না মিটিয়ে অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশে রফতানি হচ্ছে। রফতানি বন্ধ করা না হলে প্রতি কেজি মাংসের দাম এক হাজার টাকাও হবে।
তাদের দাবি, ভারত থেকে গরু-মহিষ আমদানি বন্ধ করে বিকল্প পথে ভূটান, নেপাল ও মায়ানমার থেকে আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করুক সরকার। এছাড়া দেশে গরু-মহিষ লালন-পালন বাড়ানোর মাধ্যমেও দেশের চাহিদা পুরণের চিন্তা করতে হবে বলে মত দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু, সহ-সভাপতি মো. মহসীন, হাজী আনোয়ার হোসেন, খলিলুর রহমান, তারেক আহম্মেদ কোরেশি প্রমুখ।