এই নিয়ে জীবনে দু’বার ম্যাচের সেরার সম্মান পেলেন ভারতের বোলার৷ তাও আবার বিশ্বকাপের মতো আসরে৷ মুহাম্মদ সামি হোলির দিন রঙ ছড়ালেন পার্থে৷ মূলত তার বোলিংয়ের ধাক্কায় গেইলরা কুপোকাত৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি মেডেন সহযোগে ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা৷ পার্থে ম্যাচ শেষে হাসছেন সামি৷ ‘এর আগে আমি দিল্লিতে একবার ম্যাচ অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলাম৷ এর পর আবার৷ তবে এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে কথা!’
রান-আপ বদলেছে৷ বড় স্টেপ কমিয়ে ছোট স্টেপে দৌড়চ্ছেন৷ বলের গতি বেড়েছে আরও৷ ‘আমি বেশি কিছু করিনি৷ শোয়েব ভাইয়ের (আখতার) সঙ্গে একবার কথা বলেছিলাম৷ উনি আমার বোলিং দেখে বলেছিলেন বড় স্টেপ না ফেলে ছোট স্টেপে দৌড়তে৷ তা হলে বলের জোর আরও বাড়বে আর বলের নিয়ন্ত্রণ আরও ভালো হবে৷ সেটাই করেছি এই ম্যাচে৷ ছোট স্টেপে এখন দৌড়ব৷ এর ফলে আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি৷’
শুক্রবার পার্থে ভালো বোলিংয়ের রহস্য নিজেই জানালেন৷ সামি বলছেন, “আমরা সবাই মূলত লাইন-লেংথের ওপর জোর দিয়েছি৷ লাইন-লেংথ ভালো হলে আপনাআপনি সব কিছু ঠিক হয়ে যায়৷ বাড়তি কিছু করিনি৷ দলের সিনিয়ররা আমাকে বলেছিল লাইন-লেংথ ধরে রাখতে৷ সেটাই করে গেছি৷ তার জন্যই সফল হয়েছি৷ এ ছাড়া পিচ থেকে সুইং ও বাউন্স আদায় করতে পেরেছি৷ আগে ঠিক করে নিয়েছিলাম কোনটা সাহায্য করছে– বাউন্স না সুইং৷ দেখলাম প্রথমে বাউন্সের পর সুইংটাও পরের দিকে হচ্ছিল৷ টেস্ট সিরিজে এমন ভালো পিচ পাইনি আমরা৷”
এর পর সামিরা খেলতে যাবেন নিউজিল্যান্ডে৷ সেখানে গ্রুপ লিগের দুটো ম্যাচ খেলবেন৷ চার মাস অস্ট্রেলিয়ায় থাকার পর এবার অন্য দেশে৷ সামি আলাদাভাবে দেখছেন না৷ “না, আলাদা করে ভাবার কিছু নেই৷ যেমন পিচ হোক না কেন, আমরা বোলাররা যদি লাইন-লেংথ ঠিক করে ধরে রাখতে পারি, তা হলে কোনো সমস্যাই হবে না৷ আমরা তার ওপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব৷ অন্য কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নয়৷”