ইন্টারনেটে সবথেকে বেশি প্রভাবশালী সারা বিশ্বের প্রথম ৩০ জন ব্যক্তির তালিকায় জায়গা পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সংশ্লিষ্ট সমীক্ষাটি চালিয়েছিল আমেরিকার প্রখ্যাত পত্রিকা ‘টাইম’৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারও নাম রয়েছে ওই তালিকায়৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কতজন অনুসরণকারী বা ‘ফলোয়ার’ রয়েছে, কাদের ওয়েবসাইট মানুষ প্রায়ই দেখেন অথবা ইন্টারনেটে কাদের কার্যকলাপ বিভিন্ন ভাবে সাড়া জাগাতে বা খবর তৈরি করতে পেরেছে- এ রকম বহু বিষয় বিশ্লেষণ করে এই ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হয়েছে৷ বিখ্যাত হ্যারি পটার সিরিজের স্রষ্টা ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং, গায়িকা টেলর সুইফ্ট ও বিয়ন্সেও রয়েছেন তাদের মধ্যে৷
তা ছাড়া, এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বারাক ওবামার ভারতে আসার আগাম ঘোষণা টুইটারেই করেছিলেন মোদি৷ ‘সংবাদমাধ্যমের চিরাচরিত পন্থাগুলি’কে পাশ কাটিয়ে এই ভাবে খবরটি জনসাধারণকে জানানোর জন্য মোদির প্রশংসা করেছে টাইম৷
সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটির মতে, সোশ্যাল মিডিয়া যে ক্ষমতা দেয়, তার সাহায্যে যে কেউ বর্তমানে বিশ্বজনীন আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিতে পারেন৷ সেখানে লেখা হয়েছে, “হ্যাঁ, এটি বাস্তব জীবনেও বিখ্যাত হতে সাহায্য করে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের উত্থানের ফলে জনসাধারণকে প্রভাবিত করার প্রতিযোগিতায় সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে, যেখানে বহু অপরিচিত ব্যক্তিও বাস্তবের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছেন- এমনকী আকস্মিক ভাবেও৷”
পাশাপাশি টাইম জানাচ্ছে, রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ফেসবুকে সবথেকে বেশি ‘লাইক’ এবং টুইটারে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ফলোয়ার কিন্তু ওবামার ঝুলিতেই রয়েছে৷ পত্রিকাটির মন্তব্য, ‘আরও চিত্তাকর্ষক ব্যাপার হরো, কোনো বিষয়কে সামনে আনার জন্য ওবামা ইন্টারনেটে নিজের মেমে (meme, অর্থাৎ হাস্যরসাত্মক ছবি, ভিডিও বা লেখা) ব্যবহারেও পিছু হঠেন না৷’ উল্লেখ্য, অনলাইন সংবাদসংস্থা ‘বাজফিড’-এর হয়ে একটি ভিডিওতে ‘অ্যাফরডেব্ল কেয়ার’ আইনে স্বাস্থ্যবিমা করানোর জন্য তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ওবামা৷ কয়েক দিনের মধ্যেই প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছিল৷
টাইমের তৈরি তালিকাটিতে মডেল কিম কার্দাশিয়ান, গায়ক জাস্টিন বেভার, অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রো, ইয়াও চেন, গায়িকা শাকিরা, জনপ্রিয় ব্লগ ‘হিউম্যান্স অফ নিউ ইয়র্ক’-এর চিত্রসাংবাদিক ব্র্যান্ডন স্ট্যানন এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জিমি ফ্যালন-ও রয়েছেন৷