বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের বক্তারা এই দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জনগনের মুক্তি, অর্জন আজ দুর্নীতির থাবায় আক্রান্ত। দুর্নীতির জাল বিস্তারে উঠে পড়ে লেগেছে সবাই। ক্ষমতাসীন কি ক্ষমতাহীন, সবাই আজ দুর্নীতিগ্রস্ত। বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক সংস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠান আজ এক অদ্ভুত দুর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ।”
তারা আরো বলেন, “প্রচলিত শাসন ও আইন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন না হওয়া, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা না থাকায় চেপে বসেছে দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন, অপহরণ, গুমসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা। এগুলো জনমনে ভীতির সৃষ্টি করছে।”
বক্তারা বলেন, “সম্প্রতি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকের টাকা লুট, হলমার্ক কেলেংকারি, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এগুলো সব ডিজিটাল দুর্নীতি।”
তারা বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সবাই আজ দুর্নীতির ধারক ও বাহক। নাগরিক সেবাদানকারী সংস্থাসমূহেরও ন্যূনতম জবাবদিহিতা নেই। প্রজাতন্তের কর্মচারীরা উদাসীন, দেশ আজ দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে।”
সরকারের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, “সরকার মাতৃভূমির প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে ভিনদেশীদের সঙ্গে নানা গোপন চুক্তি করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সংগঠনের সভাপতি হারুন অর রশিদ খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন কমরেড নুরুল হক মেহেদী, ফরোয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমিন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর, দেশ রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মো. ওয়ারেসুল হাসান প্রমুখ।