জঙ্গি সন্দেহে ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ভারতের গোয়েন্দারা

SHARE

ভারতে বিভিন্ন সময় হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ ভারতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর মতো আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী রয়েছে। যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে, তারা তামিলনাড়ু, কর্নাটকে একাধিক জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত। চার্জশিটে নাম রয়েছে সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি খাজা মহিউদ্দিনের। তাকে সেই ২০১৭ সাল থেকে হন্যে হয়ে খুঁজছে গোয়েন্দারা। তামিলনাড়ুতে এক পুলিশ কর্মকর্তার খুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এই মহিউদ্দিন আবার আইএস কমান্ডার হাজা ফাকরুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। এই হাজা প্রথম ভারতীয় যে আইএসে যোগ দিয়েছিল ২০১৪ সালে। হাজা ফাকরুদ্দিন ও খাজা মহিউদ্দিন দু’জনেই তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরের বাসিন্দা।

বেঙ্গালুরুতে নতুন করে আইএসের আস্তানা তৈরি করেছে মহিউদ্দিন, এমনটাই দাবি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে মেহবুব পাসা নামে আইএসেরই সন্দেহভাজন আরেক সদস্য।

তদন্তকারীরা বলছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আগে ‘আল হিন্দ’ গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিল। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালায় এই গোষ্ঠী। পরে ইসলামিক স্টেটের মূলধারার সঙ্গে মিশে যায়। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কর্নাটকের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।

গোয়েন্দারা বলছেন, এই ১৭ জনের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তামিলনাড়ু, কর্নাটকের নানা জায়গায় হিন্দু প্রভাবশালী নেতাদের হত্যা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, নাশকতামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। মনে করা হচ্ছে আইএস সংগঠন থেকেই অর্থ ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানো হয় তাদের।

মেহবুব পাসা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। খাজা মহিউদ্দিন ও সাদিক বাসার সঙ্গে মিলে আল-হিন্দ সংগঠনকে নতুনভাবে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই সাদিক বাসা আরেক সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। যার নাম রয়েছে এনআইএ-র চার্জশিটে।

শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণের পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) গোয়েন্দারা যখন এই তথ্য ফাঁস করে দেন যে, আইএস-ই ওই ঘটনায় জড়িত, তখন থেকেই কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ুর নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

গোয়েন্দারা জানান, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের শক্তি প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেরালা, কর্নাটকে ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তাদের শক্ত ভিত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। যুব সম্প্রদায়কে দলে টানারও চেষ্টা করছে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া