মাত্র চারদিনেই ১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত!

SHARE

সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধাভন করা করোনা ভাইরাস আগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র চারদিনেই ১ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিদর্শক তেড্রোস আডানম গেব্রিয়ুস।

গেব্রিয়ুস বলেন, প্রথমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে ১ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৬৭ দিন। দ্বিতীয় এক লাখ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছে ১১দিন। আর তৃতীয় এক লাখ হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন।

মহাপরিদর্শক বলেছেন, এই ভয়াবহ ভাইরাসটি সঙ্গে মোকাবেলা করা এখনো সম্ভব। এজন্য আমি আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একসঙ্গে প্রতিরোধ সরঞ্জাম উৎপাদনে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাবো। সম্মেলনে প্রতিটি দেশকে এই সংকটময় সময়ে ঐক্য হওয়ার জন্য আহ্বান করব। কারণ, বিশ্বের মোট জিডিপির ৮০ শতাংশ এসব দেশের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নেতা আরও বলেন, প্রতিটি দেশেকে একত্রে কাজ করতে হবে। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যদি অগ্রাধিকার না দেই, তাহলে অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। কেননা যারা চিকিৎসা দিবেন তারাই যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে সেবা দেওয়ার লোক কোথায় পাব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, ২৬ মিলিয়নের বেশি স্বাস্থকর্মী করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন।

ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯৫ টি দেশের ৩,৮৬,৩৩২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১,০২,৩৩৩ জন। মৃতের সংখ্যা ১৬,৭৭১ জন। বর্তমানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৬ জন মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৫৬ জনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন আর ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৬ জনের অবস্থা স্থিতিশীল।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চীনে। দেশটিতে ৮১ হাজার ০৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৭০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে চীনের ছাপিয়ে গেছে ইতালি। দেশটিতে ৬৩ আজার ৯২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭ জন। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। ৪১ হাজার ৫৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা ভাইরাস ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সূত্রঃ বিবিসি