করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্থবির বিনোদন-দুনিয়া। করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনেও। ১৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সব সিনেমা হল। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ পেয়ে দেশের সব সিনেমা হল নিয়ম মেনে বন্ধ করা হয়েছে।
ঢাকার বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। আজিমপুরে বিজিবি সিনেমা হলের সামনে গিয়ে দেখা যায় প্রায়ই ফাঁকা। সিনেমা হলের মাঠে দুই শিশুকে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। দূরে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একজন দাঁড়িয়ে আছেন। হলে প্রবেশের মূল গেট লাগানো। ভেতরে বসে কথা বলছেন পাঁচ-ছয়জন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এঁরা সিনেমা হলের কর্মচারী। হলের ভেতরে খোশগল্পে মেতেছেন তাঁরা। হল মালিকপক্ষের একজন মহম্মদ জসীম বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ নেই। বেশির ভাগ সময় অবসরে আড্ডা দিয়েই সময় যায়। তবে কাজের মধ্যে থাকলেই ভালো লাগে।’
জানা গেছে, ২০-২২ জন কর্মীর বেতন এবং হল ভাড়া নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তাঁরা। এখনো দর্শকেরা এসে জিজ্ঞাসা করছেন সিনেমা চলছে কি না। হলের এক পাশে পোস্টারে লেখা আছে আগামী সপ্তাহের ছবির তালিকা। ২৭ মার্চ ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিটি এই হলে দেখানোর কথা ছিল। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।
বন্ধ আছে বলাকা সিনেমা হলও। বাইরে অবসর সময় পার করছেন কর্মীরা। নুরুল ইসলাম নামের একজন নিরাপত্তাকর্মী জানালেন, এখনো নাকি অনেক দর্শক সিনেমা দেখতে আসেন। হলের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেল দুজন বসে আছেন। ৩০ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দর্শক আইলেই ভালো লাগে। এহন টাইম যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে অনলাইনে নাটক দেখি।’
বলাকায় এখনো শোভা পাচ্ছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ছবির পোস্টার। ছবিটি ২৭ মার্চ এই হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
আনন্দ সিনেমা হলে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, হলটি সরকারি সিদ্ধান্তে এখন বন্ধ। কথা বলার জন্য হল সংশ্লিষ্ট কাউকে দেখা গেল না। হলের সব ফটক বন্ধ। আনন্দ সিনেমা হলের ওপর রয়েছে বিশ্বসুন্দরী ছবির ব্যানার টানানো। সেখানে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ২৭ মার্চ মুক্তির কথা ছিল।