সারা দেশে ৪৯ হাজার নদী দখলদার চিহ্নিত : নৌপ্রতিমন্ত্রী

SHARE

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদে জানিয়েছেন, সারা দেশে সর্বমোট ৪৯ হাজার ১৬২ জন নদ-নদী দখলদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সারাদেশে নদ-নদীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সারা দেশে অবৈধ দখলদারদের প্রস্তুতকৃত তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং সংশ্লিষ্ট সকল জেলা তথ্য বাতায়নে আপলোড করে সর্বসাধারণের পাঠ ও অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার কার্যক্রমটি একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর হতে প্রণীত তালিকা অনুযায়ী বিশেষ উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ হাজার ২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং সাড়ে ২১ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নদী বন্দরগুলোতেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করার বিষয়টি অব্যাহত রাখা হবে।

মন্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী- কুমিল্লা জেলায় সর্বাধিক ৫ হাজার ৯০৬ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালী জেলায় ৪ হাজার ৪৯৯ জন, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৭০৪, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১৩৪, বরিশাল জেলায় ২ হাজার ২৭২, ময়মনসিংহ জেলায় ২ হাজার ১৬০ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি এবং সুনীল অর্থনীতি কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে বিএসসির কৌশলগত পরিকল্পনায় এই ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন অবহেলিত বিএসসিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় বিএসসির জন্য ৬টি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরকারি দলের শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা বাংলাদেশের চলমান সকল নৌপথ সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের জন্য ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উক্ত বরাদ্দ হতে প্রয়োজন অনুসারে আরিচা-নগরবাড়ী হয়ে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত নৌপথ ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম চলমান আছে।