ঢাকা সিটি নির্বাচন পেছাতে আপিল বিভাগে আবেদন

SHARE

আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পেছানোর রিট খারিজ করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতীপূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর আদেশ চেয়ে রিটটি করা হয়েছিল।

আবেদনকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আবেদনে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।

গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। এরপর গত ৭ জানুয়ারি রিট আবেদনটি বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দাখিল করা হয়। ১২ জানুয়ারি রিট আবেদনটি কার্যতালিকায় থাকবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন আইনজীবী। এ অবস্থায় রবিবার ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল রিট আবেদনটি। কিন্তু এ রিট আবেদনের ওপর এই বেঞ্চের শুনানির এখতিয়ার না থাকায় আইনজীবী তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করলে আদালত তা বাদ দিতে আদেশ দেন। এরপর রিট আবেদনটি নেওয়া হয় বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে। এই বেঞ্চে গতকাল শুনানি হয়।

শুনানিতে রিট আবেদনকারীর আইনজীবীরা বলেন, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আর ৩০ জানুয়ারি পঞ্চমীর আগে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, এই পূজাটি বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হবে। আর সরস্বতী পূজাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হবে। তাঁরা বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় শুধু দিনের ওপর নয়, ক্ষণের ওপর নির্ভর করে। যেমন করে আমাদের দেশের একটি বৃহৎ ধর্মের মানুষ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। তাই আমাদের পূজার জন্য ক্ষণটি তাৎপর্যপূর্ণ বিধায় বিষয়টি ধর্মীয় আয়োজনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে। এ কারণে ৩০ জানুয়ারির নির্ধারিত ভোটগ্রহণ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’

তবে গত ১৪ জানুয়ারি ওই রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। রিটটির শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা। নির্বাচন পেছানো হলে তিন মাস পিছিয়ে দিতে হবে।