খিলগাঁও সবুজবাগ মুগদাবাসী পাবেন মেট্রোরেলের সুবিধা

SHARE

পরিবহন চাহিদা মেটাতে রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ, বাসাবো ও মুগদাবাসী মেট্রোরেলের সুবিধা পাবেন। এ জন্য মালিবাগ, রাজারবাগ এবং কমলাপুরে মেট্রোরেলের তিনটি স্টেশন হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন পার্কে (বাসাবো খেলার মাঠ) তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধনী ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ঢাকা-৯ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় ডিএসসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প তিনটি হলো- বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন পার্ক, বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার ও ৬ তলা বিশিষ্ট তরুণ সংঘ ভবনের নির্মাণ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আখি আলমগীর এবং স্থানীয় শিল্পীরা।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তিনটি স্টেশনের একটি মালিবাগ, একটি সবুজবাগের রাজারবাগ এবং অপরটি কমলাপুর রেলস্টেশনে হবে। এতে করে পুরো রাজধানীর সঙ্গে মেট্রোরেলের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষের যোগাযোগ স্থাপন হবে। যাতায়াতের সুবিধার্থে এলাকার প্রতিটি রাস্তা প্রশস্ত করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার ও খেলার মাঠ নির্মাণ করার কথাও বলেন তিনি।

নবনির্মিত পার্কটিতে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে উল্লেখ করে সাবের হোসেন আরো বলেন, শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও পার্কটি নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। শিশু-কিশোর, যুবক, গৃহিণী, পেশাজীবী, মুরুব্বি এমনকি হুইল চেয়ারে যারা চলাচল করে তারাও পার্কটি ব্যবহার করতে পারবেন। ক্রিকেটের অনুশীলনের জন্য দুটি পিচ করা হয়েছে। অর্থাৎ সবার জন্য পার্কটিতে কিছু না কিছু আছে। পার্কটি হবে এই এলাকার সব মানুষের মিলনকেন্দ্র। চা-কফি থেকে শুরু করে, খেলাধুলা ও হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় তার নির্বাচনী এলাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণকে উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাওয়া নতুন নগরী উল্লেখ করে সংস্থাটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমি দক্ষিণ ঢাকাকে এমনভাবে গড়ে তুলব যাতে গুলশান বনানী অভিজাত এলাকার মানুষ এখানে চা কফি খেতে আসেন। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও ঢাকাবাসীদের সমর্থন, সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের পার্ক ও খেলার মাঠগুলো একসময় অবৈধ দখল, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নিয়ে অবৈধ দখল থেকে এসব পার্ক ও মাঠ উদ্ধার করে শিশু-নারী-পুরুষ-বৃদ্ধা সবার ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে জল-সবুজে ঢাকা প্রকল্প নিই। এরই মধ্যে ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ককে আমরা বিশ্বমানের করে তৈরি করেছি। এর আগে অত্যাধুনিক বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসাবো তরুণ সংঘের ৬ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাঈদ খোকন ও সাবের হোসেন চৌধুরী।