গো-রক্ষকদের থামান, সংখ্যালঘুরা ভয়ে আছে : মোদিকে মুসলিম সাংসদ ওয়াইসি

SHARE

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলেমিনের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ভারতের সংখ্যালঘুরা ভয়ভীতি নিয়ে বসবাস করছে। নরেন্দ্র মোদি যদি সত্যিই সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকতেন, তাহলে মুসলমানদের নির্যাতন করা থেকে গো-রক্ষকদের বাধা দিতেন।

এদিকে শনিবার পার্লামেন্টের কেন্দ্রীয় সভাকক্ষে নরেন্দ্র মোদি জানান, দরিদ্রদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, সংখ্যালঘুরাও একইভাবে প্রতারিত হয়েছে একসময়। বর্তমানে তাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে।

আসাদুদ্দিন প্রশ্ন তোলেন, মুসলমানরা যদি ভারতে নির্ভয়ে থেকে থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি আমাদের জানাতে পারবেন যে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে জয়ী তিন শতাধিকের মধ্যে কতজন মুসলিম প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন?

গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি যে ধরনের রাজনৈতিক চর্চা করছে সেটার সঙ্গে মোদি এবং তার পার্টির বক্তব্য একেবারেই বৈপরীত্য তৈরি করে। এটা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও মনে করেন তিনি।

আসাদুদ্দিন বলেন, ২০১৫ সালে যারা আখলাককে হত্যা করেছে (গরুর মাংস রাখার অভিযোগে), মোদির পার্লামেন্টে তাদের সামনের সারির আসনগুলোতে দেখা গেছে। মোদি যদি সত্যিই মুসলমানদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হতেন, তাহলে ক্যাডারদের থামাতেন। গরু রক্ষার নামে যারা মানুষদের পেটাচ্ছে, মুসলমান মারছে, ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছে, তাদের থামাতেন।

আসাদুদ্দিন আরো বলেন, আমাদের বিধানে মানুষের জীবন ধারণের অধিকার রয়েছে, পশুর নয়। আমি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী যদি এসব অনুধাবন করতেন, তাহলে সংখ্যালঘুদের ভয় চলে যেত।

এ ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলায় গত সপ্তাহে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে তিন যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধরের প্রসঙ্গও তোলেন হায়দরাবাদের এই সাংসদ।