যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে ১৮ কেজি গাঁজা পাচার চেষ্টার অভিযোগে আটক ব্রিটিশ নারীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ব্রাউনি-ফ্রেটার চায়না জাদা ঘানার আক্রা শহর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে যাচ্ছিলেন। তবে ঘানাতেই আটক হন তিনি।
অভিযোগ অনুযায়ী, তার ব্যাগে ৩২টি গাঁজার স্ল্যাব ছিল, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ইউরো।
ঘানার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের পর গত শনিবার তিনি আদালতে হাজির হন এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
আরেক ব্রিটিশ নাগরিক, ১৯ বছর বয়সী ওউসু উইলিয়ামস ক্রিশ্চিয়ান একই বিমানবন্দরে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।
তিনি দুবাই যাচ্ছিলেন। তখন তার ব্যাগে প্রায় ৫৪ কেজি ওজনের ৯২টি গাঁজার স্ল্যাব পাওয়া যায় বলে অভিযোগ।
দুটি গ্রেপ্তারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ঘানার মাদক নিয়ন্ত্রণ কমিশন জানিয়েছে, তারা দেশের মধ্যে মাদক পাচার ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
ব্রিটিশ নাগরিকদের মাদক পাচারে জড়িত থাকার বেশ কয়েকটি মামলা সম্প্রতি সামনে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২৭ টন গাঁজা জব্দ করা হয়েছে—যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হিথ্রো বিমানবন্দরে ধরা পড়ে।
যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স এখন একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে, যার আওতায় মাদক বহনকারীদের তাদের দেশেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে যাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিচার করতে পারে।
ব্রিটিশ নাগরিকদের মাধ্যমে যেসব মাদক পাচার হয়, তার বেশির ভাগই থাইল্যান্ড থেকে আসে। এ ধরনের কয়েকটি আলোচিত মামলাও সম্প্রতি ঘটেছে।
২১ বছর বয়সী শার্লট মে লি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার একটি কারাগারে আছেন।
তাকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের অভিযোগে দেশটির মূল বিমানবন্দর কলম্বোতে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দাবি করেছেন, কিভাবে গাঁজা তার ব্যাগে এলো, তা তিনি জানেন না।
আরেকটি সাম্প্রতিক ঘটনায়, ১৮ বছর বয়সী বেলা মে কুলি বর্তমানে জর্জিয়ার একটি কারাগারে রয়েছেন। তাকে থাইল্যান্ড থেকে ১৪ কেজি গাঁজা পাচারের অভিযোগে তিবলিসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়।
দোষী সাব্যস্ত হলে, তার সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।