ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ, নাবলুসসহ কয়েকটি শহরে একযোগে বেশ কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ স্টোরে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় সেনাদের সঙ্গে বাসিন্দাদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া সেনারা দাবি করেছেন, এসব স্টোরের মূল কম্পানির সঙ্গে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র’ রয়েছে। অভিযানের সময় রামাল্লাহর একটি স্টোরের সামনে রেখে যাওয়া এক নোটিশে বলা হয়, ‘আল-খালিজ এক্সচেঞ্জ কম্পানির সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, সে কারণেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
’
ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, রামাল্লাহর স্টোরটির সামনে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি যানবাহন অবস্থান করছিল এবং সেনারা ভেতর থেকে কাপড়ে ঢাকা কিছু বস্তু নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এ সময় স্টোরটির এক কর্মীকে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ির মাধ্যমে পাহারা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পশ্চিম তীরের উত্তরের শহর নাবলুসেও আল-খালিজ কম্পানির আরেকটি মানি এক্সচেঞ্জ স্টোর ও একটি সোনার দোকানে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানেও একজন এএফপি সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযানের সময় নাবলুসে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা সেনাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় এবং তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারে। রামাল্লাহভিত্তিক ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নাবলুসে মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত ও অন্তত আটজন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় তারা টিয়ার গ্যাসে আক্রান্ত ২০ জন এবং রাবার বুলেটের আঘাতে আহত তিনজনকে চিকিৎসা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাস এই অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এই হামলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট ও সম্পদ জব্দ করা—এবই ইসরায়েলি সরকারের দস্যু নীতিরই অংশ।’
হামাস আরো দাবি করে, যেসব কম্পানিকে লক্ষ্য করা হয়েছে তারা ‘আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছিল’।
রামাল্লাহভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে এএফপির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।