গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেয়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদন মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পাওয়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, হামাস দুই ধাপে ইসরাইলের ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে ইসরাইল।
এছাড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরাইল বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে কয়েকশজন ইসরাইলি কারাগারে দীর্ঘমেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন ১ হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের কথা রয়েছে এবং যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিনের মধ্যে গাজার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরাইলকে সরে যেতে হবে।
যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং আলোচনা বন্ধ হয়ে গেলে আরও উত্তেজনা রোধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
একই সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন এবং গত জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি কাঠামোর ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য শর্তাবলী মেনে চলার জন্য ইসরাইলের উপর চাপ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিধানও রয়েছে, যার বাস্তবায়ন তদারকি করবে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা।
সিএনএনকে দেয়া উইটকফের এক মন্তব্যের পরই হামাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হওয়ার খবর এলো। উইটকফ বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি এখন টেবিলে রয়েছে এবং হামাসকে তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।