আমরা অনেকেই স্টাইলিশ রংবেরঙের দুই ফিতার স্যান্ডেল পরতে ভালোবাসি। এটি পরে হাঁটাচলা বা যেকোনো কাজ করা বেশ আরামদায়ক।
স্যান্ডেল পায়ের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে এটাও ঠিক। কিন্তু, এ ধরনের জুতো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর! এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা।
এ নিয়ে একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, স্যান্ডেল পরে হাঁটার সময় শরীরের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। সেই সঙ্গে পায়ে সংক্রমণের আশংকাও থাকে।
শুধু তাই নয়, স্যান্ডেলে পা খোলা থাকে, এভাবে রাস্তায় বের হলে হাজারও ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করে। ফলে বাড়ে সংক্রমণের আশংকাও।
গবেষকদের মতে, স্যান্ডেলের গঠনের কারণে চলার সময় হোঁচট খাওয়ার আশংকা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি গোড়ালিতে আঘাত লাগতে পারে।
সারা দিন চটি পরে হাঁটাহাঁটি করলে প্রথমেই গোড়ালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক পেশি, এমনকি স্পাইনাল কর্ডও মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের জুতো পরলে শারীরিক ভারসাম্য একেবারে ঠিক থাকে না। যে কারণে পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
স্যান্ডেল পরে হাঁটার সময় বড় বড় পদক্ষেপ ফেলে হাঁটা সম্ভব হয় না। ফলে কোমরের নিচের দিকে এবং হাঁটুতে মারাত্মক চাপ পড়ে। আর এমনটা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকলে শরীরের এই অংশগুলোর ক্ষয় হতে শুরু করে, যা শরীরের পক্ষে মোটেও ভাল নয়।
এছাড়া এ ধরনের জুতা পায়ে ফোসকা পড়ে। আর এমনটা হলে পায়ের ওই অংশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রোগও বাড়ে।
শুধু তাই নয় স্যান্ডেলে শিরদাঁড়ার ওপর মারাত্মক চাপ পরে। ফলে পিঠে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
তবে গবেষকরা মনে করেন, পায়ের পাতা ঢাকা থাকবে এমন জুতো পরলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ এমন জুতো শুধু সংক্রমণের হাত থেকেই বাঁচায় না। সেই সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে আঘাত লাগার আশংকাও অনেকটা কমিয়ে দেয়।