ফলাফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রভাব পড়েনি: শিক্ষামন্ত্রী

SHARE

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় এইচএসসি পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।image_94211_0

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের প্রভাব ফলাফলে পড়েনি। ২০১২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ পাস করেছে। এবার ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১২ সালে তো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি; তখন যদি ফল ভালো হতে পারে এখন কেন ভালো হবে না।”

ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্ষেত্রে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “কেউ অসৎ পথ অবলম্বন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ক্ষমতা নেয়ার সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জঞ্জাল, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ভরা ছিল। কিন্তু আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি।”

বর্তমানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আধুনিক যুগে বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করবে, এটাই স্বাভাবিক। অনেকে বলেন আমরা নাকি শিক্ষকদের বেশি নম্বর দেয়ার কথা বলেছি। এসব মন্তব্য আমাদের জন্য বিব্রতকর।’

প্রসঙ্গত, এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ৯ এপ্রিল ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। স্থগিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৮ জুন। সরকারি তদন্ত শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র ও গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে একইসঙ্গে পদার্থ, রসায়নসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।