যুদ্ধবিরতি ভেঙে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চার দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। বুধবার রাতে হামাস ও তেল আবিব আরো পাঁচ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর কিছুক্ষণ পরই এ হামলা চালায় মানবতার শত্রু ইসরাইল।
হামলায় খান ইউনিস শহরসহ গাজা উপত্যকার একাধিক শহরের কয়েকটি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তেল আবিব দাবি করেছে, গাজা থেকে কথিত রকেট নিক্ষেপের জবাবে তারা এসব বিমান হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ইসরাইল বিরোধী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের মুখপাত্র ফৌজি বারহুম ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এ হামলার জন্য তেল আবিবকে অনুতপ্ত হতে হবে।”
মিশরের রাজধানী কায়রোয় বুধবার রাতে হামাস ও ইসরাইলি প্রতিনিধিরা সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো পাঁচ দিনের জন্য বাড়াতে সম্মত হন। একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ সময় বাড়ানো হয়।
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের প্রধান শর্ত হচ্ছে- গাজার ওপর থেকে অবরোধ পুরোপুরি তুলে নিতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরোধ শিথিল করতে সম্মত হলেও তা পুরোপুরি তুলে নিতে এখনো রাজি হয়নি।
গত ৮ জুলাই থেকে গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের ওপর আকাশ, ভূমি ও সাগর থেকে পাশবিক হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬০ ফিলিস্তিনি মারা গেছে যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
অন্যদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ৬৪ জন ইসরাইলি সেনা ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। -আইআরআইবি।