তবুও থামছে না ঝুঁকিপূর্ণ স্পিডবোট ও লঞ্চের চলাচল

SHARE

এমভি পিনাক-৬ প্রবল স্রোতে ডুবে যাওয়ার পরও মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়া ভাবেই চলছে স্পিডবোট ও লঞ্চ। এতে জান-মাল নিয়ে শঙ্কিত দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা।image_93379_0

সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে গত ২৪ জুলাই কাওড়াকান্দি ঘাটে অনুষ্ঠিত একটি সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের কড়া নির্দেশের পরও মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে স্পিডবোট ও লঞ্চগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করছিল।

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও স্পিডবোটে জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট ও বয়া রাখার ওই দিনের নির্দেশের পরেও স্পিডবোটে চালু হয়নি লাইফ জ্যাকেট ও বয়া। যানবাহনে নেয়া হচ্ছিল অতিরিক্ত যাত্রী ও বাড়তি ভাড়া।

জানা যায়, মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে পাঁচ শতাধিক স্পিডবোট ছাড়াও ৮৭টি লঞ্চ, দুই শতাধিক ট্রলার ও ১৮টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে।

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, স্পিডবোটে জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট ও বয়া রাখার নির্দেশ নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করছে ফিটনেসবিহীন অর্ধশতাধিক লঞ্চ ও পাঁচ শতাধিক স্পিডবোট।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার যাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করেন। প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরে বেশি চাপ বেড়ে যায়।

ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অথচ এসব আদেশ নির্দেশ উপেক্ষা করে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহন মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে জীবনহানির ঘটনা ঘটছে।