সম্প্রচার নীতিমালাবিরোধী আন্দোলনে থাকবেন আইনজীবীরাও

SHARE

সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সম্প্রচার নীতিমালাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার নীতিমালা হিসেবে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এটাকে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা বলেও উল্লেখ করে সমিতি।  জনগণের স্বার্থবিরোধী এ নীতিমালার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনজীবীরাও থাকবেন বলেও জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।image_93381_0

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বার অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এ মন্তব্য করেন।

আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন,  “সরকার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নতুন সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ও গণতন্ত্রকামী জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না। ”

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “অতীতেও আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। বাক স্বাধীনতা খর্ব করে আইন প্রনয়ণ করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করেছিল। সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। এবারো ব্যর্থ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”

তিনি বলেন, “প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ সংশোধন করে সম্প্রতি মন্ত্রিসভা যে সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তা সংবাদপত্রসহ সব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবে।” এ নীতিমালার মাধ্যমে টক শোও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।

এই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থন বিহীন সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। সরকার দুর্নীতি, অপশাসন ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড যাতে জনসম্মুখে প্রকাশ না পায় সে কারণেই নতুন সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত জনগণের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে সরকার অতীতের মতো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে এই নীতিমালা করা হয়েছে।”

এই নীতিমালা বাতিলের দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এই আইনজীবী নেতা।

সমিতির সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “গণমাধ্যমর এই নীতিমালা শুধু সাংবাদিকদের জন্য সমস্যা নয়, এটি সমগ্র জাতির জন্য সমস্যা”

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এম খালেদ, ড. মেহেদী, সহ-সম্পাদক রেজাউল করিম খন্দকার, সদস্য আফসানা রশিদ সুভ্রা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।