বেসিক ব্যাংকে চার পরিচালক নিয়োগ

SHARE

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে চারজন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।image_89511_0

পরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- যুগ্ম সচিব মামুন আল রশীদ, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সাবেক এমডি রায়হানা আনিসা ইউসুফ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মজিব আহমেদ ও হাসান মাহমুদ এফসিএ।

প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে এরা পরবর্তী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের লক্ষ্যে রবিবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরনো পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয় এবং আলাউদ্দিন এ মজিদকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ৬ জুলাই রোববার নিয়োগ কার্যকর করা হয়।

এদিকে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার পর রোববারই ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ছয় জনের নামের একটি তালিকা পাঠানো হয়। এদের মধ্যে চার জনের বিষয়ে অনাপত্তি জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

যে দুজনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও অনাপত্তিপত্র পাঠায়নি তারা হলেন- কমার্স ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. আসাদুজ্জামান ও শিল্পম ন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ।

ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও নিয়োগ-পদোন্নতিতে কেলেঙ্কারি ঠেকাতে ব্যর্থ বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত ২৯ মে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২৬ মে ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন শাখায় ঋণ বিতরণে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয় এবং ব্যাংকের সিনিয়র ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে না, তবে পুনর্গঠন করা হবে।’

এ ধারাবাহিকতায় বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু গত শুক্রবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তার সরকারি বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুই দিন পরই রোববার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় সরকার।