পেঁয়াজে আগুন, আমদানির বিকল্প উৎস খোঁজার পরামর্শ

SHARE

ভারত দফায় দফায় রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় দেশে আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। রোজার এই ক’দিনে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে গেছে ১০ টাকারও বেশি। সাধারণত রোজা এলেই প্রতিবেশী দেশ এ পণ্যটির রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দেয় বলে আমদানির জন্য নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। খবর সময় টেলিভিশনের।image_89197_0

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেল পেঁয়াজের দামের উঠানামা নিয়ে ব্যবসায়ীরাই অসন্তুষ্ট। দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে যাওয়াও পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে বলে জানালেন তারা।

এ প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী জানান, ‘বুধবারে যে পেঁয়াজটা কিনেছি সেটা ৩৪ টাকা কেজি কিন্তু ওই পেঁয়াজটাই বৃহস্পতিবার কিনেছি ৩৯ টাকা করে।’

শুক্রবারের পাইকারি বাজারে মান ভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে এই দাম বাড়ছে প্রতি কেজিতে আরো ছয় থেকে আট টাকা বেশি। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়াই আতঙ্কিত বাড়ছে খুচরা ক্রেতাদের।

এদিকে, আমদানি কারকরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে, দাম অচিরেই কমে সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর কৃষিপণ্য আমদানি কারক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বাবুল বলেন, “আমাদের আমদানির প্রস্তুতি আছে পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজও আছে, তাই মার্কেটে খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা না। কিন্তু দাম টন প্রতি ৩০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে যদি ৫০০ ডলার করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই মার্কেটে এর প্রভাব পড়ে।”

তবে অর্থনীতি বিশ্লেষকের মতে, চাহিদার তুলনায় বাজারে যোগান বাড়লেই দাম আবারো নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে দামের লাগাম টেনে ধরতে এখনই ভারতীয় বাজারের বিকল্পও খুঁজে বের করার পরামর্শও তাদের। এছাড়া ভোক্তাদের কম করে পেঁয়াজ কেনার পরামর্শও তাদের।