আমারই সহকর্মী ফোন দিয়ে আমার অ্যাওয়ার্ড ক্যানসেল করান এবং নিজে দুইটা নেন : তানজিন তিশা

SHARE

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার তানজিন তিশার। নাচ, মডেলিং এরপর অভিনয়ে এসে অর্জন করেছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। কাজের জায়গা থেকে অভিনয়শৈলী এবং বিনয়ী-অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণে এখনো দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে এই অভিনেত্রী। কিন্তু তারই বিভিন্ন সহকর্মী বিভিন্ন সময়ে তাকে ঘিরে নানা সমালোচনায় মুখর থাকলেও কখনো তিনি সেসব নিয়ে মাথা ঘামাননি, নীরবে নিজের কাজটাই করে গেছেন।

কিন্তু তারই এক সিনিয়র সহকর্মীর এক আচরণে বেশ মর্মাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তানজিন তিশা। শুধু মর্মাহতই নন, এমন ঘটনায় বেশ অবাকও হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

এক সিনিয়র সহকর্মী তার প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন—সম্প্রতি জায়েদ খানের উপস্থাপনায় ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ শীর্ষক এই শোতে হাজির হয়ে এমনটা জানান তানজিন তিশা।

সেই শোতে ‘কোনো সহকর্মীর আচরণে তুমি মর্মাহত হয়েছিলে?’—এমন প্রশ্নের উত্তরে তানজিন তিশা বলেন, ‘এটা নিয়ে আগে কখনো বলিনি, প্রথমবারের মতো বিষয়টা নিয়ে বলছি।
আমার এক সিনিয়র সহকর্মী কোনো একটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের দিন তাদের বলেছে, ও (তানজিন তিশা) যদি অ্যাওয়ার্ডটা নেয় তাহলে আমি (সহকর্মী) অ্যাওয়ার্ড নেব না। মানে আমি অ্যাওয়ার্ড নিলে তিনি নেবেন না। এরপর তিনি আমার অ্যাওয়ার্ডটা ক্যানসেল করিয়েছেন। অনুষ্ঠানের দিন আমাকে ফোন করে জানানো হয় যে, তুমি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছ না।
এরপর দেখি, ওই দুইটা অ্যাওয়ার্ডই তিনি (সহকর্মী) নিয়েছেন।’

এরপর ‘আরেকজনকে বঞ্চিত করে অ্যাওয়ার্ড নেওয়াটা কি ঠিক’—জায়েদ খানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তানজিন তিশা উত্তর দেন, ‘আমি জানি না। হয়তো তার মনে হয়েছে সে দুটি অ্যাওয়ার্ডই ডিজার্ভ করে, সে নিয়েছে। দ্যাটস ফাইন।’

প্রত্যেকটা সহকর্মীকে বেশ ভালো জানেন উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আমার প্রত্যেকটা সহকর্মীকে ভালো জানি, ভালো জানতে চাই।
এ রকম না যে, এটা শুধু বলার জন্য বলা। আমি যেটা অনুভব করি সেটা আমার ফেস দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু যখন এ রকম কিছু হয় তখনই ভাবি, হোয়াই ইজ দ্যাট? ওই জায়গা থেকে আমি খুব শকড হয়েছিলাম, বাট ইটস ওকে।’

উল্লেখ্য, স্বদেশ ও প্রবাসী—দুই প্রজন্মের দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তারকাদের একান্ত সাক্ষাৎকার, প্রবাস জীবনের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প, সামাজিক বাস্তবতা ও নতুন প্রজন্মের ভাবনার প্রতিফলন নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলা গণমাধ্যম ঠিকানা শুরু করেছে নতুন এই টক শো। যেখানে প্রতি শুক্রবার নতুন নতুন অতিথি নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হবেন জায়েদ খান।