এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ইতিহাস গড়লেন শুবমান গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তুলে নিলেন ১৬১ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে এবং ইংল্যান্ডকে দেয় টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম বড় লক্ষ্য—৬০৮ রান।
এই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করে গিল উঠে এসেছেন টেস্ট ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে যিনি এক ম্যাচে ৪০০ রানের বেশি করেছেন।
টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শুধু গ্রাহাম গুচের ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে করা ৪৫৬ রানের চেয়েই পিছিয়ে গিল। তবে সবচেয়ে বড় রেকর্ডটি হলো—টেস্ট ইতিহাসের ১৪৮ বছরের মধ্যে প্রথমবার কোনো ব্যাটার একটি ম্যাচে একবার ডাবল সেঞ্চুরি এবং আরেকবার ১৫০ রান করলেন।
এই ম্যাচেই গিল গড়েছেন আরো নজিরবিহীন কীর্তি।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডারের পর তিনিই টেস্টে দুই ইনিংসেই ১৫০ রানের বেশি করার কীর্তি গড়লেন। একই সঙ্গে এক ইনিংসে শতক ও অপর ইনিংসে দ্বিশতকের দুর্লভ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন গিল—ভারতের হয়ে এর আগে কেবল সুনীল গাভাস্কারই এমন কীর্তি গড়েছিলেন।
ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসেই শতক করার কীর্তিও গিলের নামের পাশে—এর আগে শুধুমাত্র গাভাস্কার ও কোহলিই এই কীর্তি গড়েছিলেন।
আর ইংল্যান্ডের মাটিতে দুই ইনিংসে শতক? সেই তালিকায় ভারত থেকে গিলের আগে কেবল ছিলেন ঋষভ পন্ত।
মাত্র ২৫ বছর বয়সী গিল অধিনায়কত্ব পেয়েছেন রোহিত শর্মার টেস্ট থেকে অবসরের পর, আর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই যেন উড়ছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে মাত্র চার ইনিংসে করেছেন তিনটি সেঞ্চুরি—প্রথম টেস্টে হেডিংলিতে ১৪৭, এরপর এজবাস্টনে ২৬৯ ও ১৬১।
ইংল্যান্ডের সামনে এখন পাহাড়সম লক্ষ্য। চতুর্থ দিন শেষে তাদের স্কোর ৩ উইকেটে ৭২ রান, জয়ের জন্য প্রয়োজন আরো ৫৩৬ রান। আগুনঝরা বোলিংয়ে ভারতের হয়ে এদিন আবারও জ্বলে উঠেছেন মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ।
সিরাজ ফেরান জ্যাক ক্রলিকে (০), আর দীপ বোল্ড করেন বেন ডাকেট (২৫) ও জো রুটকে (৬)।
উল্লেখ্য, টেস্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এসেছে এই এজবাস্টনেই, ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৭৮ রান।