বলিউডের চতুর রামলিঙ্গম-কে মনে আছে? থ্রি ইডিয়টস-এ যিনি না থাকলে মনে হতো, এত ভালো একটি ছবিটা বোধহয় অসম্পূর্ণ রয়েছে। মনে হতো, রান্নায় নুন কম হয়ে গিয়েছে। এমন একটি চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, সেই ওমি বৈদ্য-কে কী ভাবে খুঁজে পেলেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি? আসুন একবার দেখে নিই অডিশনের সেই ইতিহাস।
পরিচালক চতুরের চরিত্রের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে এক হাজারেরও বেশি অভিনেতা, উঠতি অভিনেতা বা নেহাতই শখের অভিনেতার অডিশনের পর যখন রাজকুমার হিরানি হতাশ, তখনই প্রবেশ ওমি-র। তত দিনে এটা ঠিক করা হয়েছে, যে চতুরের চরিত্রের জন্য যাকে বাছা হবে, তিনি প্রবাসী ভারতীয় হবেন। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অডিশন দিতে এসে ওমি চতুর-এর সেই বিখ্যাত অ্যাকসেন্টে কথা বলতে শুরু করেন। ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে খাস মার্কিনি অ্যাকসেন্ট শুনে প্রথমে তো প্রায় নাকচ হয়ে যাচ্ছিলেন ওমি। পরে আরও একটিবার বাজিয়ে দেখার জন্য তাকে কিছু ডায়ালগ পড়ে শোনাতে বলা হয়। ব্যস, সেখানেই বাজিমাত।
ওমি-র কথায়, ‘প্রথমে আমায় শরমন জোশি-র রোল থেকে কয়েকটি ডায়ালগ পড়ে শোনাতে বলা হয়। পরে ‘লগে রহো মুন্নাভাই’ থেকে আরও একটি দু’টি ডায়ালগ পড়ে শোনাই। আমার মনে হচ্ছিল, ওদের আমার অ্যাকসেন্টের জন্যই সেটা শুনতে ভালো লাগছিল। সেটাই প্লাস পয়েন্ট হলো আমার জন্য। আমার ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়ল চতুরের রোলের।’
পরিচালক রাজু হিরানিও বলছেন, ‘ওমি যা বলছিল, আর যা অঙ্গভঙ্গি করছিল তার সঙ্গে প্রায় কোনো মিল ছিল না। তবে সেটাই ওর মধ্যে একটা ইউনিকনেস এনে দেয়।’ ছবির সব অভিনেতা- আমির খান থেকে বোমান ইরানি, মাধবন, সকলে একবাক্যে স্বীকার করে নেন যে ওমি ছাড়া এমন চতুর আর কেউ করতে পারতেন না। বাকিটা তো ইতিহাস। ‘ইস স্বর্ণ অবসর পর এক স্লোক ইয়াদ আ রহে হ্যাঁ। উত্তমম…..’। ভাবুন তো, এই ডায়ালগ ওমি ছাড়া এত স্বাভাবিকভাবে আর কারও পক্ষে বলা সম্ভব ছিল!