বিশ্বকাপ হোক ৪০ ওভারের

SHARE

cric14নতুন বিশ্বকাপের রূপরেখা তৈরি করেছেন মার্টিন ক্রো৷ যা ক্রিকেট দুনিয়াকেই বদলে দিতে পারে৷ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ক্রিকইনফোতে৷

কোনো সন্দেহ নেই, গত বিশ্বকাপে তথাকথিত ছোট টিমগুলোর মরণপণ লড়াই সবার নজর কেড়েছে৷ একটা কারণ পরের বিশ্বকাপ ১০ টিমের হওয়ার সম্ভাবনা৷ যা আমার কাছে একেবারেই অর্থহীন মনে হয়৷ দশ টিমের বিশ্বকাপ মানে তা শুধু ক্রিকেটের বিগ থ্রি -রই কোষাগার বাড়াবে৷ আমাদের এমন একটা বিশ্বকাপের নকশা ভাবা উচিত , যা ক্রিকেটকে অন্য একটা উচ্চতায় পৌঁছে দেবে৷ আমার মত হল, বিশ্বের সেরা ১৮টা টিমের পুল তৈরি করে প্রতি চার বছর অন্তর সেরাদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট৷

কীরকম হবে সেটা ? প্রথমত, আট ঘন্টার পরিবর্তে ওয়ান ডে হবে ছ’ঘন্টার, কারণ ওয়ান ডে হবে ৪০ ওভারের৷ প্রথমে প্রি কাপ টুর্নামেন্ট, এখন যেটা কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট, সেটা হবে৷ তাতে পাপুয়া নিউ গিনি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নামিবিয়া, বারমুডা, নেপালের মতো টিমগুলো অংশ নেবে৷ এরা নিজেদের মধ্যে দু’বার করে খেলবে৷ সেরা দুটো টিম যাবে ওয়ার্ল্ড সিরিজ লিগে৷ এই লিগ হবে দশ সপ্তাহের৷ দুটি গ্রুপে মোট ১৮টি টিমকে ভাগ করা হবে৷ প্রতি গ্রুপে থাকবে ন’টা করে দল৷ মোট ৩৬ দিনে ৭২টা ম্যাচ হবে৷ যেমন র্যা ঙ্কিং অনুযায়ী দুটো গ্রুপ বা কনফারেন্স হতে পারে এইরকম৷

গ্রুপ এ: অস্ট্রেলিয়া(১), দক্ষিণ আফ্রিকা (৩ ), নিউ জিল্যান্ড (৫), পাকিস্তান (৭), বাংলাদেশ (৯), আয়ার্ল্যান্ড (১১), সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (১৩ ), নেদারল্যান্ডস (১৫ ) এবং যে কোনো একটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশ৷

গ্রুপ বি: ভারত (২), শ্রীলঙ্কা (৪), ইংল্যান্ড (৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮), জিম্বাবুয়ে (১০), আফগানিস্তান (১২), স্কটল্যান্ড (১৪ ), কেনিয়া (১৬) এবং যেকোনো একটি অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশ৷

৩৬ দিনের লিগ শেষ হওয়ার পর একটা ছোট বিরতি থাকবে৷ ২০১৯-এর বিশ্বকাপটা হবে ইংল্যান্ডে৷ তাই ওখানেই হোক ফাইনাল পর্যায়৷ এই গ্রুপের প্রথম চারটে টিম অন্য গ্রুপের প্রথম চারটি টিমের সঙ্গে খেলবে৷ অর্থাৎ প্রত্যেকে খেলবে চারটি ম্যাচ৷ সেখানে ঠিক হবে চার সেমিফাইনালিস্ট৷ প্রাথমিক লিগের পয়েন্ট ক্যারি করা যাবে মূল পর্যায়ে৷ সেমিফাইনাল হবে এক বনাম চার এবং দুই বনাম তিনের৷ যেটা হবে তিন ম্যাচের, আট দিন সময়ের মধ্যে৷ তারপর গ্র্যান্ড ফাইনাল হবে লর্ডসে৷ সেটাও হবে বেস্ট অব থ্রি৷ গোটা ব্যাপারটা দশ সপ্তাহে শেষ করা সম্ভব, যা অবশ্যই গোটা বিশ্বের নজর কাড়বে৷

আবার বলছি , সব ম্যাচ হবে ৪০ ওভারের৷ ইনিংস শেষ করতে হবে ১৬০ মিনিটে৷ ৩০ মিনিট বিরতি৷ একটাই বল ব্যবহার হবে৷ দু’জন বোলার দশ ওভার বল করতে পারবে৷ ফিল্ড রেস্ট্রিকশন বলতে প্রথম ১০ ওভারে দু’জন রিংয়ের বাইরে থাকবে৷ বাকি ৩০ ওভারে পাঁচ জন বাইরে থাকতে পারবে৷ এখন ক্রিকেট পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের খেলা হয়ে গিয়েছে৷ সেটা অন্তত এই নিয়মে বদলে ফেলা যাবে৷ স্কোর আর রোজ ৩০০ হবে না , সেটা ২৫০ থেকে ২৭৫ রানে এসে দাঁড়াবে৷ আমরা একটা প্রকৃত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই ফর্ম্যাট থেকে পেতে পারি৷