বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের রক্তধারায় লিখিত আছে, ফ্যাসিস্ট সরকার (আওয়ামী লীগ) পতনের আন্দোলনে শহীদদের কাহিনি। তাদের কাছ থেকে এ দেশের মানুষ কত নির্মম, নিষ্ঠুর আচরণ পেয়েছে। তার পরও সেই ফ্যাসিস্টদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা-বেদনা নেই। পরাজয়ের কোনো স্বীকারোক্তি নেই, বরং দেখি দাম্ভিকতা।
’
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণ-অভ্যুত্থানে আহত, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও অসহায় অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমাদের এই মুক্তির মন্দিরে সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে। আমাদের অশ্রুজলের চাইতেও বেশি বলতে হবে।
সেই বেদনার ইতিহাস, ধারাবিবরণী ভবিষ্যতে উপন্যাসে লিখিত হবে, অজস্রতে লিখিত হবে। আমরা তখন বুঝতে পারবো তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) কত নিষ্ঠুর আচরণ করেছিল। সেই স্বৈরাচারে দাম্ভিক আচরণ আমরা যতই দেখব আমাদের মনে হবে যে ভবিষ্যতে এ রকম কোনো ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি যাতে না হয়। সেভাবে যেন আমরা রাষ্ট্রব্যবস্থাটা পরিচালিত করি।
’
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘দৃষ্টিভঙ্গি এভাবে গ্রহণ করি, যা আমরা প্রতিদিন সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাব, একটি জনকল্যাণমুখী সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাব। একটি জনকল্যাণকর রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের জন্য কাজ করব। রাষ্ট্রীয়ভাবে সবাই শুনি যে সংস্কার হচ্ছে। রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালিত হয়। কারণ এই রাষ্ট্রব্যবস্থাটা যারা পরিচালনা করবে তাদের মানসিক সংস্কার হওয়া দরকার।
একই সঙ্গে জনগণের মানসিক সংস্কার হওয়া দরকার, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার হওয়া দরকার। এই সমাজের মানুষের, যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তাদের সম্মিলিতভাবে, মানসিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যদি রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই দুইয়ে দুই চার হবে। তাহলেই আমরা একটা কল্যাণমূলক মানবিক রাষ্ট্র পাব।’
অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাহ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি প্রমুখ।