সালাহ উদ্দিনের খোঁজ বিএনপির অন্তরালের বিষয়

SHARE

suronjit8বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়া এবং দুই মাস পর স্ত্রীকে ফোন দেওয়ার ঘটনা বিএনপির অন্তরালের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে ভারতের মেঘালয় থেকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিবের টেলিফোন পাওয়ার কথা তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জানানোর পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্য থেকে এটাই প্রথম প্রতিক্রিয়া।

সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিলম্বিত হলেও ভালো খবর। মেঘালয় থেকে তিনি ফোন করেছেন জানলাম।

আশা করি, শিগগিরই মেঘালয় থেকে আপন আলয়ে আসবেন।  এসব তাদের (বিএনপি) অন্তরালের ব্যাপার।

বিএনপি জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় সালাহ উদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

এরপর সালাহ উদ্দিনের পরিবার ও বিএনপি এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছিল।

সালাহ উদ্দিনের অন্তর্ধানে তার দলের ‘হাত রয়েছে’ বলেও ইঙ্গিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বামীর সন্ধানে আদালতে যাওয়া হাসিনা আহমেদ মঙ্গলবার জানান, সালাহ উদ্দিন মেঘালয়ের একটি হাসপাতাল থেকে তাকে ফোন করেছেন।

হরতাল-অবরোধ ডেকে বিএনপি নেতাদের পালিয়ে থেকে বিবৃতি পাঠানোর দিকে ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত বলেন, গণতন্ত্রের রাজনীতি প্রকাশ্য। অন্তর্ধানে থেকে রাজনীতি হয় না।

অন্তরালের রাজনীতি করলে অন্তর্ধানে যেতে হয়। আর বিপদ তখনই আসে।

ব্লগার হত্যা প্রসঙ্গ

সিলেটে মুক্তমনা ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কারা করেছে এটা তদন্তের বিষয়।

তবে এর আগের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আল কায়েদা তাদের দায় স্বীকার করেছে। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ডেকে আনে।

মঙ্গলবার সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয়কে। তিনি মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চে যুক্ত ছিলেন।

মুক্তমনা ব্লগ সাইটের পরিচালক অভিজিৎ রায়কে গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর এক মাসের মধ্যে ঢাকায় খুন হন আরেক অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু।

ব্লগার হত্যাকাণ্ডে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ। এর মধ্যে শুধু ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল জনতা।