দীর্ঘদিন ধরে কথাবার্তা হয় না এমন একজন বন্ধু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন পরিচালকের কাছে। সৌহার্দ্য বিনিময় পর্ব শেষে সেই বন্ধু নাকি জানতে চেয়েছেন, ‘কিরে, তোদের বোর্ড সভাপতি নাকি ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছে। সেখান থেকে কত টাকা ভাগ পেয়েছিস?’
ফারুক আহমেদ বিসিবির টাকা নয়ছয় করেছেন—সংবাদমাধ্যমে কিছুদিন আগে এমন খবর প্রকাশের পর বিসিবির সক্রিয় থাকা বোর্ড পরিচালকরা নিজ কর্মস্থল, এমনকি নিকটাত্মীয়দের কাছেও বিভিন্ন অপ্রীতিকর প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় আস্থার সংকটে পড়েছেন বলে মনে করছেন বিসিবি সভাপতিসহ অন্য বোর্ড পরিচালকদের অনেকে।
এ জন্য গত রবিবার অনলাইনে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকেন ফারুক। সেখানে আলোচনার পর গতকাল আরো একটি বৈঠক ডাকা হয়। দুপুর ২টায় অনলাইনে হওয়া আড়াই ঘণ্টার ওই বৈঠকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট এবং যে টাকা বিসিবি সভাপতি নিজে সরিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা বাড়তি মুনাফার আশায় কোন প্রক্রিয়ায় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে সে বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান একজন পরিচালক। সেসব টাকার হিসাব এবং অডিট রিপোর্ট জনসমক্ষে আনতে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
এই তথ্য প্রকাশের আগে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বিসিবির দুর্নীতির খোঁজে নামা দুদকের কাছে অডিট রিপোর্টের একটি নথি বিসিবি পাঠাবে বলে জানা গেছে। মূলত হারাতে বসা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য বেশ তৎপর হয়েছেন বোর্ড পরিচালকরা।