অজি সংবাদমাধ্যম আগেই ঘোষণা করেছিল, কোন ১০ কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতবে৷ কী সে গুলো? জানাল ‘খেলার সময়’
১. নিউ জিল্যান্ড একটা ম্যাচও নিজেদের দেশের বাইরে খেলেনি৷ অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠে ফাইনালেই প্রথম ম্যাচ খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ল তারা৷
২. রাগবি বিশ্বকাপ ও রাগবির ঐতিহ্যবাহী ব্লেডিসলো কাপ এখন নিউ জিল্যান্ডের দখলে৷ চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফিও তাই৷ সেই সঙ্গে আবার বিশ্বকাপটা চলে যেত নিউ জিল্যান্ডের হাতে৷ সেটা কখনোই মানতে পারতেন না অজিরা।
৩. অস্ট্রেলিয়ার সেরা লিগগুলোতেই নিউ জিল্যান্ডের দাদাগিরি৷ ফুটবলে এ লিগে এখন এক নম্বর টিম ওয়েলিংটন ফিনিক্স৷ জাতীয় বাস্কেট বল লিগ ও রাগবি লিগ জয়ীরাও নিউ জিল্যন্ডের টিম৷ এটা মেনে নিতে পারেন না অস্ট্রেলীয়রা।
৪. ১৯৮১ সালে ট্রেভর চ্যাপেলের আন্ডারআর্ম ডেলিভারির কলঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াতে হয়৷ যা নিয়ে অজিরা মনে করেন, এত দিন পরও ব্যাপারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি অহেতুক৷ সেটা ঢাকবে বিশ্বকাপ জয়।
৫. নিউ জিল্যান্ডের অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ান প্রতিবেশীদের আরও বেশি টিটকিরির সুযোগ করে দিত৷ যা তারা কখনোই চান না।
৬. অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ কাজ করবে না৷ বল সুইং করবে না৷ ছোট মাঠ না হওয়ায় বলে বলে ছক্কা মারাও সহজ নয়৷ এটা চাপে ফেলেছে নিউ জিল্যান্ডকে।
৭. বিখ্যাত হলিউড ব্যক্তিত্ব রাসেল ক্রো৷ নিউ জিল্যান্ডে জন্মালেও এখন থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়৷ নিজেকে বলেনও অস্ট্রেলিয়ান৷ তাকে নিয়ে দুই দেশের টেনশন বাড়ত নিউ জিল্যান্ড জিতলে।
৮. ১৯৮৪ সালে অলিম্পিকে ৮টা সোনা জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল তার অর্ধেক৷ তখন কিউয়িরা মজা করে অজিদের বলত, ওরা কার্ল লিউসের সমান সোনা জিতেছে।
৯. অস্ট্রেলিয়ান ঘোড়দৌড়ের নামী ঘোড়া ফার ল্যাপ৷ বিখ্যাত মেলবোর্ন কাপ জেতার জন্য প্রসিদ্ধ৷ মেলবোর্ন মিউজিয়ামে এই ঘোড়ার দেহ মাউন্ট করে রাখা আছে৷ আসলে ফার ল্যাপ নিউ জিল্যান্ড-জাত হলেও তার উপর বরাবরই দাবি জানায় অস্ট্রেলিয়ানরা।
১০. অজিদের জাত্যাভিমান৷ সে দেশের মানুষরা কিউয়িদের সম্পর্কে বলেন, ওরা অস্ট্রেলিয়ান নন।