বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেছেন, “মোবাইল ব্যাংকিং যেমন সাধারণ মানুষের জন্য লেনদেনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ তেমনি এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাকে চাঁদাবাজরাও কাজে লাগাচ্ছে। মানুষের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে মোবাইলে চাঁদাবাজি বন্ধ করবো আমরা।”
রোববার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যাংকটির ‘হ্যালোক্যাশ’ সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন থেকে নিজেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো ধরণের অনলাইন ট্রানজেকশন, ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, রেমিটেন্স দেয়া-নেয়াসহ সব ধরণের ব্যাংকিং কার্যক্রম সহজে ও নিরাপদে করতে পারবেন।
নাজনীন সুলতানা বলেন, “দেশের ১৯টি ব্যাংক বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। আল আরাফাহ যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা ২০-এ দাঁড়ালো। প্রতিদিন ৩৯১ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। এর মাধ্যমে সহজে গ্রামে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস), পজ মেশিন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আগামী এক কার্ড দিয়েই সব ব্যাংকের সেবা গ্রহন করা যাবে। এতে কার্ড ব্যবহারকারী ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা এবং বাইরের অন্যান্য সেবা পাবেন সহজে।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামীম ইকবাল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ খাঁন, আব্দুল মালেক মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, নিয়াজ আহমেদ, মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী ও খালিদ রহীম।