এক একটি ম্যাচ করে শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপের প্রায় পুরোটাই। দুই সেমি আর ফাইনালসহ বাকি মাত্র তিনটি ম্যাচ।
বিশ্বকাপের প্রায় শেষপর্যায়ে এসে খানিকটা ফিরে দেখা যাক, কারা আলো ছড়িয়েছেন এবারের আসরে? ব্যাটে-বলের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অন্যদের ছাড়িয়ে কারা এগিয়ে আছেন?
সেরা তিন ব্যাটসম্যান
কুমার সাঙ্গাকারা: কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে এরমধ্যেই বিশ্বকাপ শেষ শ্রীলংকার। শেষ হয়ে গেছে লংকানদের হয়ে কুমার সাঙ্গাকারার রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ারও। ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে রীতিমতো মাঝদুপুরের মতো ব্যাটে তেজ ছড়িয়েছেন লংকান কিংবদন্তি। সাত ম্যাচে খেলে করেছেন ৫৪১ রান। বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন টানা চার সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাস তো অবশ্যই, যার নজির নেই একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসেও।
মার্টিন গাপটিল: কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন অনবদ্য নটআউট ২৩৭ রানের ইনিংস। গ্রুপ পর্বের আরেকটি সেঞ্চুরির সুবাদে কিউই ওপেনার ৪৯৮ রান নিয়ে এখন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার।
ব্রেন্ডন টেলর: জিম্বাবুয়ে বাদ পড়ে গেছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ব্রেন্ডন টেলরও জিম্বাবুয়ের হয়ে ক্যারিয়ার ইতি টেনেছেন। শেষবেলা রাঙিয়ে দিয়ে গেলেন দলকে। দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটিসহ ৬ ম্যাচে করেছেন ৪৩৩ রান। ডি ভিলিয়ার্স, দিলশানদের ছাড়িয়ে যেটি তাকে এখনো তৃতীয় স্থানে রাখছে।
সেরা তিন বোলার
ট্রেন্ট বোল্ট: প্রথম ম্যাচ থেকেই বলে আগুন ঝরাচ্ছেন। বাঁ হাতি পেসে নাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের স্ট্যাম্প। যার বড় আঘাতটা সয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতিবেশি দেশটির বিপক্ষে নেওয়া ২৭ রানে ৫ উইকেটের বোলিং চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে ৪.২১ ইকোনোমিতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট।
মিচেল স্টার্ক: মিচেল জনসনের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স ঢেকে গেছে মূলত স্টার্কের কল্যাণেই। গতি আর বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন প্রতি ম্যাচেই। ওভারপ্রতি রান দেওয়ার হারও দুর্দান্ত- ৩.৭৪। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক স্পেলে ২৮ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে ১৮ উইকেট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
মোহাম্মদ শামি ও জেরম টেলর: ব্যাটিংয়ে বিশ্বসেরা ভারত তাদের অধিকাংশ পরাজয় বরণ করে বোলিংয়ের কারণে। সবসময় বোলিংয়ের দূর্বল দল বলে বিবেচিত ভারত এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার পর্যন্ত সাত ম্যাচেই প্রতিপক্ষ দলকে অলআউট করেছে। আর ভারতের এই বদলে যাওয়া বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় রুপকার মোহাম্মদ শামি। ৪.৪৩ ইকোনোমিতে ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। যেটি এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ।
তবে যৌথভাবে তার সঙ্গে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরম টেলরও।
টুকিটাকি
কোয়ার্টার পর্যন্ত ৬ হয়েছে ৪৩০টি
সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ (ঘণ্টায় ১৫৪ কিলোমিটার)
এ পর্যন্ত উইকেট পড়েছে ৬৭৪টি, যার ৪৮৯টিই ক্যাচ আউট।